তরুণীর ঝুলন্ত দেহ, অভিযুক্ত স্বামী-সহ ৩

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট থানার শ্বেতপুর কর্মকারপাড়ার বাসিন্দা রুমার সঙ্গে বিয়ে হয় শক্তিগড়ের বাসিন্দা শম্ভুর। বিয়েতে তরুণীর পরিবারের তরফে সোনার গয়না, আসবাবপত্র, নগদ টাকা দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪৯
Share:

শম্ভু ও রুমা।

বিয়ের আট মাসের মধ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তরুণীর। শুক্রবার সকালে বনগাঁর শক্তিগড় দাসপাড়া থেকে রুমা কর্মকার (১৯) নামে ওই তরুণীর দেহ মেলে।

Advertisement

তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, মেয়েকে গলা টিপে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন রুমার বাবা বিশ্বনাথ সেন। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাট থানার শ্বেতপুর কর্মকারপাড়ার বাসিন্দা রুমার সঙ্গে বিয়ে হয় শক্তিগড়ের বাসিন্দা শম্ভুর। বিয়েতে তরুণীর পরিবারের তরফে সোনার গয়না, আসবাবপত্র, নগদ টাকা দেওয়া হয়েছিল। রুমার পায়ে একটি ঘা ছিল। তাঁর নার্ভের সমস্যাও ছিল বিয়ের আগে থেকে। সব কিছু জেনেই শম্ভু তাঁকে বিয়ে করেছিল। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে জামাই, তার বাবা নিতাই ও মা শিবানী রুমার অসুস্থতা নিয়ে খোঁটা দিত। নানা কারণে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত।দিন কয়েক আগে রুমা এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার শম্ভু শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে বাড়ি ফেরার জন্য চাপ দেয়। বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘আমাদের সামনে মেয়েকে হুমকি দেয় স্বামী। তারপরে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।’’ সন্ধ্যাবেলাও মেয়ে ফোনে বাপের বাড়ির লোকজনকে নির্যাতনের কথা জানিয়েছিলেন বলে বিশ্বনাথদের দাবি। রুমার শ্বশুরবাড়ির পাড়ার লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তাঁরা চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পেয়েছিলেন। সকালে জানা যায়, মারা গিয়েছেন রুমা। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বিশ্বনাথরা মেয়ের শ্বশুরবাড়ি এসে জানতে পারেন, পুলিশ দেহ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বৃহস্পতিবার রাতে অশান্তির সময়ে রুমা স্বামীর মোবাইল ফোন ছুড়ে ভেঙে ফেলেন। তাতে শম্ভু আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন