ED Raid At Baruipur

গোয়ায় মাদক কারবারে বারুইপুরের ব্যবসায়ীর যোগ! ইডির অভিযান দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাড়িতে

সম্প্রতি গোয়ায় একটি বড় মাদকচক্র ভেঙেছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। ওই চক্রের সূত্র ধরে কলকাতা থেকেও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করতে গিয়ে উঠে আসে বারুইপুরের নয়িম ও সাবিরের নাম।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৫ ১৫:৪৭
Share:

ইডির অভিযান বারুইপুরের বাড়িতে। বাইরে পাহারায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। —নিজস্ব চিত্র।

সকাল সকাল বাড়ির সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়ায় একের পর এক গাড়ি। প্রথমে গাড়ি থেকে নামেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। তাঁরা বাড়ির চারদিক ঘিরে ফেললেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে গাড়ি থেকে নামেন কয়েক জন আধিকারিক। বিস্মিত গৃহস্থের প্রশ্নের জবাবে তাঁরা জানালেন, ইডি তল্লাশি হবে। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে দুটি বাড়িতে ইডি অভিযান ঘিরে শোরগোল এলাকায়। সূত্রের খবর, সুদূর গোয়ার একটি মাদক কারবারের তদন্ত করতে গিয়ে বারুইপুরের বাসিন্দাদের নাম উঠে এসেছে। তাঁদের বাড়িতে মঙ্গলবার হানা দিয়েছে ইডি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, জনৈক নয়িম লস্কর এবং সাবির লস্করের বাড়িতে ইডির আধিকারিকেরা তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি পেয়েছেন। ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ী নয়িম এবং সাবিরের নাম পাওয়া গিয়েছে একটি মাদক মামলার সূত্রে। নয়িম ও সাবিরের প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সকাল ৬টা নাগাদ ইডি আধিকারিকেরা পৌঁছোন বারুইপুরে। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই শুরু হয় দুই বাড়িতে তল্লাশি অভিযান।

পরে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি গোয়ায় একটি বড় মাদকচক্র ভেঙেছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। ওই চক্রের সূত্র ধরে কলকাতা থেকেও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করতে গিয়ে উঠে আসে বারুইপুরের নয়িম ও সাবিরের নাম। অভিযোগ, ওই দুই ব্যবসায়ী ইমারতি কারবারের আড়ালে অবৈধ মাদক ব্যবসায় জড়িত। অবৈধ কারবারে তাঁদের আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। সেই সূত্র ধরে মঙ্গলবার বারুইপুরে পৌঁছে গিয়েছে ইডি।

Advertisement

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, নয়িম দীর্ঘ দিন ধরে ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা করেন। তাঁর বড় দোকান আছে বারুইপুরে। অন্য দিকে, ইডি সূত্রে খবর, আর্থিক লেনদেনের নথি, ডায়েরি ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হাতে এসেছে তাদের। তবে এই অভিযানের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের আটক বা গ্রেফতারির খবর মেলেনি। দু’জনের পরিবারের কেউ মুখ খোলেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement