ঢাকের তালে জোটের মিছিল

কেউ কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে ভোটে র প্রচার শুরু করলেন। আবার কেউ চড়া রোদে মুখে মুখোশ দিয়ে প্রচার করল। আবার কোথাও হল লাড্ডু বিতরণ। রবিবার সকালে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে তিন প্রার্থী তিন রকমভাবে প্রচার করলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট ও ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৬ ০২:১৯
Share:

কেউ কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে ভোটে র প্রচার শুরু করলেন। আবার কেউ চড়া রোদে মুখে মুখোশ দিয়ে প্রচার করল। আবার কোথাও হল লাড্ডু বিতরণ। রবিবার সকালে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে তিন প্রার্থী তিন রকমভাবে প্রচার করলেন।

Advertisement

এ দিন সকালে বসিরহাটের টাউনহল এলাকায় সিপিআই নেতা অজয় চক্রবর্তী এবং সিপিএম নেতা নিরঞ্জন সাহার কাছে আর্শীবাদ নিয়ে জোটের নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন কংগ্রেস প্রার্থী অমিত মজুমদার। এরপর তিনি টাউনহল এলাকার কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে প্রচারে বের হন। সিপিএম নেতা প্রতাপ নাথ-সহ শতাধিক জোট কর্মী নিয়ে পুরাতন বাজার এলাকাতে প্রচার করেন তিনি।

এ দিন ভোটের প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী দীপেন্দু বিশ্বাস সংগ্রামপুরের পূর্বপাড়ায় যান। সেখানে কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি থেকে কয়েকজন তৃণমূলে যোগ দেন। শ্রমিক নেতা রমাপ্রসাদ দফাদার বলেন, ‘‘তৃণমূলের উন্নয়নমূলক কাজ দেখে আমরা এক হাজারের বেশি শ্রমিক তৃণমূলে যোগ দিলাম।’’ দীপেন্দুর কথায়, “যেখানে যাচ্ছি বেশ ভাল সাড়া পাচ্ছি।” বসিরহাটের ভ্যাবলা বাজার এলাকাতে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচার করেন বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখোশ পরে প্রচার হয়। শমীকবাবু বলেন, “আমি প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করি না। মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।”

Advertisement

অন্য দিকে এ দিন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে শাসক দলের প্রধান বিরোধী বাম ও কংগ্রেস জোটের মিছিল বের হল বীজপুর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত সব বিধানসভাতেই। জগদ্দলে রিকশা ভ্যানে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল সিংহ। ব্যাটারি চালিত সাউন্ড বক্স থেকে মাঝে মাঝেই হুঙ্কার ভেসে আসছিল তার! ছিল ঢাক। কংগ্রেস আর বামেদের শাখা সংগঠনগুলির পতাকা ছিল মিছিলে। কেউ কেউ আবার সিংহের মুখোশ মুখে দিয়ে ছিলেন। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের বাসুদেবপুর মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিল ফিডার রোড ধরে গিয়ে শেষ হয় শ্যামনগর স্টেশনের কাছে।

জগদ্দল বিধানসভায় এই ফিডার রোডই এখন বিরোধীদের আক্রমণের প্রথম অস্ত্র। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়কের প্রথম প্রতিশ্রুতি ছিল ঘোষপাড়া রোড ও কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সংযোগকারী ফিডার রোড সংস্কার। গত দশ বছরে ফিডার রোডের দৈন্য দশা ঘোচেনি। ফরওয়ার্ড ব্লকের এ বারের প্রার্থীকেই হারিয়ে তৃণমূলের পরশ দত্ত জয়ী হওয়ার পর নারকেল ফাটিয়ে রাস্তা তৈরির কথা ঘোষণা করলেও সে রাস্তায় এক খাবলা পিচও পড়েনি। এ বার তাই বিরোধী জোটের তুরূপের তাস এই রাস্তা।

মিছিল থামে বন্ধ অন্নপূর্ণা কটন মিলের সামনে। প্রার্থী বললেন, ‘‘প্রতিশ্রুতি নয় ঠেকে শেখার জায়গা থেকে বলছি, জিততে পারলে বন্ধ কারখানাগুলিতে প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করব।’’ পাশেই ছিলেন কংগ্রেস নেতা বিপুল ঘোষাল। তিনিও বললেন, ‘‘আমরা করবই। এতদিন আলাদা চলেছি এ বার একসঙ্গে শিল্পাঞ্চলের ধূসর চেহারাটা বদলাতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন