মঙ্গলবার সকালে আগুন ধরে যায় খড়দহের এক রঙের কারখানায়। —নিজস্ব চিত্র।
দীপাবলির পরের দিন আগুন ধরে যায় উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের একটি রঙের কারখানায়। খড়দহের ঈশ্বরীপুর এলাকায় ওই কারখানা থেকে আচমকাই দাউদাউ করে আগুন বার হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। পরে ইঞ্জিনের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়। শেষে দমকলের ২৫ ইঞ্জিনের চেষ্টায় প্রায় আট ঘণ্টা পরে নিয়ন্ত্রণে আসে খড়দহের আগুন।
মঙ্গলবার ভোরে অগ্নিকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দানা বাঁধে। আগুন যে ভাবে ছড়িয়ে পড়ে, তাতে আতঙ্ক আরও বৃদ্ধি পায় এলাকাবাসীদের। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ঢেকে যায়। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, কারখানার ভিতরে রাসায়নিক দ্রব্য মজুত ছিল। সেই কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধরার কারণ এখনও স্পষ্ট না হলেও অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ ওই কারখানায় আগুন লাগে। ওই কারখানাটির পাশে একটি গেঞ্জি তৈরির কারখানাও রয়েছে। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে পাশের গেঞ্জি কারখানায় আগুন গুরুতর আকার নেয়নি। নতুন করে যাতে আগুন আর না-ছড়ায়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় শুধুমাত্র ওই রঙের কারখানার মধ্যেই আগুনকে সীমিত করে ফেলা হয়। শেষে আট ঘণ্টা পরে দুপুর ১টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা।
কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অগ্নিকাণ্ডের জেরে কারখানার কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা-ও এখনও জানা যায়নি। ভোর বেলা আগুন লাগার কারণে ওই সময় কারখানা বন্ধই ছিল। ফলে কোনও প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। অন্যথায় বড়সড় বিপত্তির সম্ভাবনা ছিল না বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকে।