—ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন তৃণমূলের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে সরকারি নানা প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি মগরাহাট ১ ব্লকের লক্ষ্মীকান্তপুর পঞ্চায়েতের।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩-১৮ সালে পঞ্চায়েতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে পুকুর খনন, একশো দিনের প্রকল্পে রাস্তা তৈরি, গাছ বসানো-সহ নানা প্রকল্পের কাজ হয়েছে। সে সব কাজে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। কয়েক মাস আগে ব্যাঙ্কে প্রায় ৪০০ জবকার্ড হোল্ডারের অ্যাকাউন্ট খুলে তাঁদের এটিএম প্রধান ও উপপ্রধান হাতিয়ে নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ। এটিএমে জমা রাখা টাকা না থাকায় সপ্তাহ তিনেক আগে মড়াপাই, লক্ষ্মীকান্তপুর-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের জবকার্ড হোল্ডাদের ব্যাঙ্ক থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, কম করে ৫০০ টাকা অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে।
এর জেরেই সামনে এসেছে দুর্নীতি। ওই সব জবকার্ডধারীরা চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে কয়েক দিন ধরে প্রধানের বাড়িতে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পরে প্রাক্তন প্রধান ও দলীয় নেতারা গিয়ে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
এলাকার বাসিন্দারা প্রাক্তন প্রধান, উপপ্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণেরও অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ, চেনাশোনার সূত্রে বা দলীয় ঘনিষ্ঠতার জন্য অনেক চাকরিজীবীকে সরকারি প্রকল্পে ঘর দেওয়া হয়েছে। এমনকী, সরকারি চাকরিজীবীকেও একশো দিনের কাজে জবকার্ড পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকাও আত্মসাৎ করা হয়েছে। রাস্তা তৈরির কাজ অসম্পূর্ণ রেখে বরাদ্দ টাকা হজম করেছেন প্রধান, উপপ্রধান— অভিযোগ এমনটাও।
এলাকার বাসিন্দা, মগরাহাট ১ ব্লকের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক নিত্য মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রায় সমস্ত সরকারি প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা উপভোক্তাদের না দিয়ে সরিয়ে ফেলেছেন প্রাক্তন প্রধান ও উপপ্রধান। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’
প্রাক্তন প্রধান মনোজিৎ ঘোষকে একাধিকবার ফোন করলেও ফোন ধরেননি তিনি। প্রাক্তন উপপ্রধান রাজু বায়েনের দাবি, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। এ সব বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’’
এ বিষয়ে মগরাহাট ১ বিডিও অসীম ঘোড়ুই বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’