পুলিশের সই নকল করে জালিয়াতি

তদন্তকারী অফিসারের সই জাল এবং থানার সিল নকল করে আসামীদের বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কিছু লোকের বিরুদ্ধে। চক্রটি বসিরহাট আদালতে রীতিমতো জাঁকিয়ে বসেছে বলে অনুমান পুলিশের। আদালত চত্বরে বেড়ে ওঠা ওই চক্রের কাজ হল, জাল নথির সাহায্যে হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিদের ভারতীয় বলে প্রমাণের চেষ্টা করা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৬ ০২:০৬
Share:

তদন্তকারী অফিসারের সই জাল এবং থানার সিল নকল করে আসামীদের বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কিছু লোকের বিরুদ্ধে। চক্রটি বসিরহাট আদালতে রীতিমতো জাঁকিয়ে বসেছে বলে অনুমান পুলিশের। আদালত চত্বরে বেড়ে ওঠা ওই চক্রের কাজ হল, জাল নথির সাহায্যে হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিদের ভারতীয় বলে প্রমাণের চেষ্টা করা। সম্প্রতি এ বিষয়ে স্বরূপনগর থানার তদন্তকারী অফিসারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে বসিরহাট থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় আদালত কর্মী থেকে শুরু করে আইনজীবী এবং মুহুরিদের একাংশও জড়িত থাকতে পারে। প্রসঙ্গত, আদালতের নথি জাল করার অভিযোগে বসিরহাট আদালতের সরকারি আইনজীবী জগন্নাথ নাথকে পুলিশ মঙ্গলবার গ্রেফতারও করেছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, গত ২২ মার্চ অবৈধ ভাবে স্বরূপনগর সীমান্ত পেরিয়ে আসার সময়ে তিন বাংলাদেশিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বিচারক এই মামলায় স্বরূপনগর থানার এএসআই তথা তদন্তকারী অফিসার কুমারেশ মণ্ডলের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। কিন্তু যে রিপোর্ট আদালতে জমা পড়ে, তা দেখে সন্দেহ হয় বিচারকের। তিনি গত ১০ মে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য কুমারেশবাবুকে ডেকে পাঠান। সব কিছু দেখে কুমারেশবাবু বিচারককে জানান, রিপোর্টটি জাল। স্বরূপনগর থানার সিল লাগানো ওই রিপোর্টে থাকা সই আদৌ তাঁর নয়। বাংলাদেশিদের যে ভারতীয় নাগরিকত্বের নথিপত্র দেওয়া হয়েছিল, তা-ও জাল। থানার সিলও নকল করা হয়েছে। এরপরে বিচারকের নির্দেশে তিনি এ বিষয়ে বসিরহাট থানায় তাঁর এফআইআর দায়ের করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement