নতুন থানা হতে চলেছে গোবরডাঙা

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দরকার থানার। গোবরডাঙার মানুষের সেই দাবি এ বার পূরণ হতে চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোবরডাঙা  শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দরকার থানার। গোবরডাঙার মানুষের সেই দাবি এ বার পূরণ হতে চলেছে।

Advertisement

সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে নতুন একটি থানা হিসাবে গোবরডাঙার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে পুলিশ কর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল গোবরডাঙায় এসে এলাকা সরেজমিনে দেখে গিয়েছেন। গোবরডাঙার পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘গোবরডাঙাকে থানা ঘোষণার সরকারি নির্দেশ আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে।’’

পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৮৭০ সালে গোবরডাঙা পুরসভা তৈরি হয়। ২০০৯ সালের জনগণনা অনুসারে গোবরডাঙা পুর এলাকার জনসংখ্যা ৪৬ হাজার। পুরসভার দাবি, এখন জনসংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মোট এলাকা প্রায় ১৪ বর্গ কিলোমিটার। পুরপ্রধান জানিয়েছে, আমরা জানতে পেরেছি পুর এলাকা ছাড়াও সংলগ্ন মছলন্দপুর ১, মছলন্দপুর ২, ও বেড়গুম ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাও নতুন থানার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

Advertisement

গোবরডাঙা এলাকাটি এখন হাবড়া থানার অন্তর্গত। গোবরডাঙায় বর্তমানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবরডাঙা ফাঁড়িতে মানুষ অভিযোগ জানাতে পারেন। এফআইআর হাবড়া থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মানুষকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে হাবড়া থানায় যেতে হয় আধিকারিক বা তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলতে। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে সময়সাপেক্ষ। যাতায়াতের খরচও বেশি হয় তাতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফাঁড়ির পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, নতুন থানা তৈরির জন্য পুরসভা জমি কিনে দেবে। ফাঁড়ির পিছনে জমি রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে নাজেহাল ছিলেন সাধারণ মানুষ। খুন, জখম, চুরি, ডাকাতি, বোমাবাজি নিত্যদিনের ঘটনা ছিল। মানুষ গভীর রাতে যাতায়াত করতেও ভয় পেতেন। বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা অপরাধমূলক নানা ঘটনা ঘটিয়ে এখানে এসে গা ঢাকা দিত। ফাঁড়িতে পুলিশ কর্মী যথেষ্ট থাকে না। বড় কোনও ঘটনা ঘটে গেলে হাবড়া থানা থেকে পুলিশকে আসতে হয়।

এখন অবশ্য অপরাধমূলক কাজকর্ম অনেক কমেছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, থানা হলে আইন-শৃঙ্খলার আরও উন্নতি হবে। এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর নন্দী বলেন, ‘‘আমরা নাগরিক সমিতির তরফে থানার দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। সেই আন্দোলনের জয় হল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন