Death

দুই বোনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, আত্মহত্যা বলে অনুমান পুলিশের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪ ০৭:৪৯
Share:

—প্রতীকী ছবি।

শোয়ার ঘর থেকে দুই বোনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল শনিবার। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বাসুদেবপুর থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতাদের নাম তনু যাদব (২২) এবং রেণু যাদব (১৯)। স্থানীয়েরা জানান, তনুরা তিন বোন। তনু বড় ও রেণু মেজো। ছোট বোনই এ দিন দুই দিদিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে প্রথমে উদ্ধারের চেষ্টা করে এবং নামাতে না পেরে প্রতিবেশীদের ডাকে। সেই সময়ে তাঁদের অভিভাবকেরা বাড়িতে ছিলেন না বলেই পরিজনেরা জানান।

Advertisement

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘স্থানীয় স্কুলে পড়তেন দু’জনেই। একই যুবকের সঙ্গে প্রণয়ঘটিত কারণে তাঁরা আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ পুলিশ তদন্তে নেমে রাতেই কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মৃত দুই বোন যে মোবাইলটি ব্যবহার করতেন, তার কললিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেড়ার ঘরে থাকতেন তিন বোন। সেখানে সিলিং ফ্যানও নেই। টিনের চালের বাঁশ থেকে কাপড় জড়িয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দুই তরুণীকে দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তাঁরাই দুই বোনকে নামিয়ে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত বলে জানান। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তনুদের বাবা পেশায় দিনমজুর। তিনি এ দিন কাজে বেরিয়ে গেলে বাড়িতে ছিলেন তিন বোন। ছোট বোন পুলিশকে জানিয়েছেন, বাবা কাজে বেরোনোর পরেই দুই দিদি ফোনে কারও সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে কথা বলতেন। পরিজনদের অভিযোগ, যে যুবকের সঙ্গে ওই দুই তরুণীর সম্পর্ক ছিল, তিনি সম্প্রতি ভয় দেখাচ্ছিলেন দু’জনকে। ফলে তাঁরা অবসাদগ্রস্ত ছিলেন।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা রমা সাউ বলেন, ‘‘সহজ-সরল মেয়ে তিন জনেই। দুই বোনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তা ছিন্ন করা ও হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকতে পারে। ওরা হয়তো অবসাদে ও আতঙ্কে এমনটা করল। যে কারণেই হোক না কেন, তার তদন্ত হওয়া উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন