বাজারে বিকোচ্ছে মোবাইল ইলিশ, নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন

১০০-১৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কাকদ্বীপের পাইকারি বাজারগুলিতে। দর ২০০ টাকা। অথচ নিয়ম রয়েছে, ২৫০-২৭০ গ্রাম ওজনের নীচে ইলিশ ধরা বারণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭ ১৬:৪৩
Share:

আহা-ইলিশ: কাকদ্বীপ বাজারে। ছবি: শান্তশ্রী মজুমদার

গভীর সমুদ্রে ইলিশে টান পড়তেই ধরা শুরু হয়েছে বাচ্চা ইলিশ। নজরদারির অভাবে মরসুমের দ্বিতীয় দিন থেকেই কাকদ্বীপের বাজার ছেয়ে গিয়েছে ‘মোবাইল ইলিশে’। ১০০-১৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কাকদ্বীপের পাইকারি বাজারগুলিতে। দর ২০০ টাকা। অথচ নিয়ম রয়েছে, ২৫০-২৭০ গ্রাম ওজনের নীচে ইলিশ ধরা বারণ।

Advertisement

কিন্তু কে শুনছে? মাছ ধরার মরসুম শুরু হয়েছে ১৪ জুন থেকে। প্রথমবারের মাছ রবিবার বাজারে ঢুকতেই দেখা গেল বাচ্চা ইলিশের ছড়াছড়ি। কাকদ্বীপ শ্মশান কালীবাড়ির কাছে ইলিশের পাইকারি বাজারে ঝুড়ি ঝুড়ি বাচ্চা ইলিশের দরদাম চলছে। এ বিষয়ে মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে খবর রয়েছে, বাচ্চা ইলিশ ধরা এ বছরও হচ্ছে। তবে গভীর সমুদ্রে নজরদারি চালানোর লোকবল নেই। তাই মৎস্যজীবী সংগঠন‌গুলির সাহায্য চেয়েছি। অভিযোগ এলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘‘যেহেতু খুব বেশি পরিমাণে বড় মাছ ওঠেনি, তাই ছোট ইলিশের চাহিদা রয়েছে। কারণ, বড় মাছটার দাম বেশি। এটা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেনা পড়েছে। ২০০ টাকায় বিক্রি হবে।’’

Advertisement

আরও খবর
টুইটারে প্রথম কেটি পেরি

স্থানীয় বাজারগুলিতে এই সময় মৎস্য দফতরের লোকজনের নিয়মিতভাবে নজরদারি চালানোর কথা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু ডায়মন্ড হারবার সামুদ্রিক মৎস্য দফতরে লোকবল কম থাকায় তা হচ্ছে না বলেই দাবি করেছেন কর্তারা। তাঁদের একজনের কথায়, ‘‘নজরদারি চালানো হচ্ছে লোকবল যতটা রয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। বাজারে গিয়ে কোন ট্রলারে ওই মাছ এসেছে জানা গেলে, তাদের লাইসেন্স বাতিল পর্যন্ত হতে পারে।’’

গভীর সমুদ্রে নজরদারি চালানো না গেলেও মৎস্যবন্দরগুলিতে যাতে এই নজরদারি চালানো হয়, তার জন্য মৎস্যজীবী সংগঠনগুলিকেই অনুরোধ করেছেন মন্ত্রী। কিন্তু সংগঠনের নেতার বলছেন অন্য কথা। পশ্চিমবঙ্গ ইউনাইটেড ফিসারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বিজন মাইতি, সতীনাথ পাত্ররা বলেন, ‘‘সংগঠন খবর দিতে পারে। সংগঠনভুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারে। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ট্রলার মালিক এ সব করে জেনেও আমরা সে রকম কোনও ব্যবস্থা নিতে পারি না। তা আমাদের আওতার বাইরে।’’ তাঁদের যুক্তি, সরকার পর্যাপ্ত লোক নিয়োগ করছে না। নজরদারি চলছে না। আর সংগঠনগুলির উপর তা চাপাতে চাইছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন