Baranagar Murder

বরাহনগরে ব্যবসায়ী খুনে ধৃত ২! সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার

বরাহনগরের শম্ভুনাথ দাস লেনে নিহত শঙ্কর জানার দোকানের ঠিক উল্টো দিকের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল পাঁচ অভিযুক্তকে। স্থানীয়দের দাবি, খুনের পর তাঁদের মধ্যে তিন জন শম্ভুনাথ দাস লেনের পিছনের রাস্তা দিয়ে দমদম স্টেশনের দিকে পালান। বাকি দু’জন চলে যান সিঁথির মোড়ের দিকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ১২:০৭
Share:

বরাহনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়লেন দুই অভিযুক্ত। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

উত্তর ২৪ পরগনার বরাহনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়লেন দুই অভিযুক্ত। সোমবার দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বরাহনগর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খোঁজ চলছে বাকি অভিযুক্তদেরও।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বরাহনগরের শম্ভুনাথ দাস লেনে নিহত শঙ্কর জানার দোকানের ঠিক উল্টো দিকের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল পাঁচ অভিযুক্তকে। দুপুর ৩টে থেকে সাড়ে ৩টের মধ্যে লুট এবং খুনের ওই ঘটনা ঘটে। তড়িঘড়ি ‘কাজ সেরে’ কয়েক মিনিটের মধ্যে এলাকা ছাড়েন দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়দের দাবি, দুষ্কৃতীদের মধ্যে তিন জন শম্ভুনাথ দাস লেনের পিছন দিকের রাস্তা দিয়ে দমদম স্টেশনের দিকে পালান। বাকি দু’জন চলে যান সিঁথির মোড়ের দিকে। এখনও পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে দু’জনকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের জেরা চলছে। কেন ওই ব্যবসায়ীকে খুন করা হল, জানার চেষ্টা চলছে। তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

শনিবার বরাহনগর থানা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত নিজের দোকানে খুন হন শঙ্কর। শনিবার দুপুরে অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ জনকে ওই দোকানের সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। সিসিটিভি ক্যামেরাতেও দেখা গিয়েছিল সেই ছবি। অভিযুক্তদের মধ্যে তিন জন দোকানের ভিতরে ঢোকেন। দু’জন ছিলেন বাইরে। সে সময় দোকানে শঙ্কর একাই ছিলেন। গয়না কেনার ভান করে তিন অভিযুক্ত দোকানে ঢোকেন। তার পর আচমকা শঙ্করের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে দেন। সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়ে শুরু হয় লুটপাট। এর পর খুন করা হয় শঙ্করকে। তাঁর হাত-পাও বেঁধে দেন দুষ্কৃতীরা। ওই দিনই বিকেলে দোকানের ভিতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শঙ্করের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয় এলাকায়। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে বাসিন্দারা। রবিবার পর্যন্তও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় সেই ক্ষোভ আরও দানা বাঁধে। বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকিও দেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। ঘটনাচক্রে, তার পর দিনই ধরা পড়লেন দুই অভিযুক্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement