তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারি, জখম

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার ওই নির্বাচনের জন্য এলাকায় কর্মী বৈঠক ডাকে ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল। ওই বৈঠকে নির্বাচনের দায়িত্ব বন্টন ও বুথে এজেন্ট করা নিয়ে তৃণমূল ও যুব তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে দলীয় নেতৃত্বের সামনেই মারামারির ঘটনা ঘটে।

Advertisement

সামসুল হুদা 

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ০২:৩৭
Share:

জখম: বেঁওতায়। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে গুরুতর জখম হলেন বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, ভাঙড় ২ ব্লকের বেঁওতা ১ যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তৃণমূলের লোকজন। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার বেঁওতা ১ পঞ্চায়েতের চড়িশ্বর গ্রামে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। জেলা পরিষদ সদস্য নান্নু হোসেন বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। নির্বাচনের আগে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য দলের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই ধরনের ঘটনা দল সমর্থন করে না। আমরা দলগত ভাবে এই ঘটনা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার ওই নির্বাচনের জন্য এলাকায় কর্মী বৈঠক ডাকে ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল। ওই বৈঠকে নির্বাচনের দায়িত্ব বন্টন ও বুথে এজেন্ট করা নিয়ে তৃণমূল ও যুব তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে দলীয় নেতৃত্বের সামনেই মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর এ দিন আবারও দু’পক্ষের মধ্যে নতুন করে মারামারি বাধে।

Advertisement

অভিযোগ, এ দিন ওই অঞ্চলের যুব তৃণমূলের সভাপতি কামিরুল ঘরামির বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালানো চালায় তৃণমূলের লোকজন। এই ঘটনায় যুব তৃণমূল কর্মীরা রুখে দাঁড়ালে পালিয়ে যায় তৃণমূল কর্মীরা। মারামারিতে জখম হন দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন। এ দিন ওই এলাকায় যুব তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে আরাবুল অনুগামীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় লোকজন তাদের জিরানগাছা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।

ভাঙড় ২ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি কাশেফুল করুব খান বলেন, ‘‘শনিবার ওই এলাকায় দলীয় কর্মী বৈঠকে একটা গন্ডগোল হয়েছিল। সেই ঘটনার পর এ দিন পরিকল্পিত ভাবে যুব তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয়। আমাদের অঞ্চল সভাপতি কামিরুলের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।’’

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘শনিবার ওই এলাকায় ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটা গন্ডগোল হয়েছিল। বিষয়টি আমরা দলীয় ভাবে সেই সময় মিটিয়ে দিয়েছিলাম। এ দিন দুপুরে ওই এলাকায় সবাইকে নিয়ে এক আলোচনায় বসার কথা ছিল। খবর পেলাম তার আগেই ওরা নিজেদের মধ্যে আবার গন্ডগোল করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষকে নিয়ে বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement