Murder

মায়ের জন্য স্ত্রী ছেড়ে চলে গিয়েছে! ক্ষোভে বৃদ্ধাকে খুন করল ছেলে

তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে অনুমান করে, পুত্রবধূর সঙ্গে এলাকার এক যুবকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শাশুড়ি। তাই হয়তো তাঁকে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উস্থি শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ০১:৩৪
Share:

এই বাড়িতেই থাকতেন মৃতা সরস্বতী রায়। নিজস্ব চিত্র।

বাড়ির শৌচালয়ের চেম্বার থেকে উদ্ধার হয় এক বৃদ্ধার দেহ। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্থি থানার ভোলেরহাট মোড় এলাকার ওই রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। গ্রেফতার হলেন মৃতার ছেলে।

Advertisement

প্রথমে পুলিশের অনুমান ছিল ছোট বৌমার পরকীয়ার কথা জেনে ফেলায় বৃদ্ধা শাশুড়িকে খুন হতে হয়েছে। কিন্তু তদন্ত এগোতেই এল নতুন মোড়।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সরস্বতী রায় (৬৫)। ছোট ছেলে দীপক রায়ের সঙ্গে নিজের বাড়িতে থাকতেন। সম্প্রতি দীপকের স্ত্রী সুপর্ণা রায় এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ওই যুবকের সঙ্গে অপ্রীতিকর অবস্থায় পুত্রবধূকে দেখে ফেলেন সরস্বতী। তার পর থেকেই সুপর্ণা মগরাহাটে নিজের বাপের বাড়িতে থাকেন।

Advertisement

গত শুক্রবার দীপক কাজ থেকে বাড়ি ফিরে মাকে আর দেখতে না পায়নি বলে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশকে দীপক জানায় যে, মায়ের দেহ শৌচালয়ের চেম্বারে পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে।

মৃতার ছেলের বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, দীপকের স্ত্রীর সঙ্গে যে যুবকের সম্পর্ক তিনিই এই খুনের নেপথ্যে থাকতে পারেন। অভিযুক্তকে আটকও করা হয়।

রবিবার ওই যুবককে জেরা করতে গিয়ে সামনে আসে নতুন তথ্য। এর পর সরস্বতীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ছেলে দীপককে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় মাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে তিনি। ধৃত মানসিক ভাবে অসুস্থ বলে মনে করছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, মায়ের জন্য স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর মনে হত, স্ত্রীর সঙ্গে মা সবসময় অশান্তি করতেন। সেই ক্ষোভ থেকেই মাকে খুন করে দীপক তাঁর দেহ বাড়ির শৌচালয়ের চেম্বারে রেখে দেন। ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে জানান, ধৃত মাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন