— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পুলিশের হাত থেকে পালানোর জন্য নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ঘণ্টাদুয়েকের মাথায় ফের ধরা পড়ে গেলেন আসামি! রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে ধৃত ওই যুবককে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু হাসপাতালের গেটের সামনে পৌঁছতেই কোনও ভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে দৌড় দেন ধৃত। সঙ্গে সঙ্গে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিছু ক্ষণ পর জানা যায়, কালনাগিনী নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন ওই ব্যক্তি! মুহূর্তে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পলাতক আসামির খোঁজে তল্লাশিতে নামে পুলিশ। এর প্রায় দু’ঘণ্টা পর ময়নাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে ফের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, চুরির অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হলে ধৃতদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো রবিবার বিকেলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ধৃতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু গাড়ি থেকে নামার পরেই পুলিশের হাত ছাড়িয়ে চম্পট দেন ওই যুবক। স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন জানা বলেন, “বিকেলে হঠাৎ এক যুবক দৌড়তে দৌড়তে কালনাগিনী নদীতে ঝাঁপ দেন। সঙ্গে সঙ্গে আরও কয়েক জন ছুটে আসেন।” খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় তল্লাশি। কাকদ্বীপ পুলিশের পাশাপাশি হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশও তল্লাশি শুরু করে। শেষমেশ দু’ঘণ্টা পর ময়নাপাড়া এলাকায় তাঁর খোঁজ মেলে।
এ প্রসঙ্গে কাকদ্বীপের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পলাতক আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানায় পৃথক মামলাও দায়ের হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলিশি হেফাজতে থাকা আসামি কী ভাবে নিরাপত্তার ফাঁক গলে পালাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ।