ম্যাটাডরে সারি দিয়ে বসানো মাছ ভর্তি ট্রে। সেই ট্রে সরাতেই দেখা গেল মাছের নীচে রয়েছে প্রচুর কচ্ছপ।
শনিবার সকালে গাইঘাটার বিষ্ণুপুর এলাকায় এমনই একটি কচ্ছপ ভর্তি ম্যাটাডর আটক করল সিআইডি। এক সূত্রে খবর পেয়ে তদন্তে নেমেছিল সিআইডি এসওজি-র কর্তারা। এরপরেই উদ্ধার হয় কচ্ছপগুলি। ম্যাটাডরটি আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে চক্রের দুই সদস্যকে। সিআইডি জানিয়েছে, ওই ম্যাটাডর থেকে ১২০০ কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা বলে সিআইডি-র দাবি।
প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, ওই কচ্ছপগুলো অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আনা হয়েছিল। সাড়ে চারশো গ্রাম থেকে শুরু করে আড়াই কিলো পর্যন্ত ওজনের কচ্ছপ রয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, ‘‘উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলি কেষ্টপুরের কচ্ছপ সেন্টারে রাখা হয়েছে।’’ সিআইডি জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রঞ্জিত দেবনাথ ও রাজু ঘোষ। ধৃতদের শনিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক চারদিনের সিআইডি-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই চক্রের পাণ্ডার খোঁজ চলছে।
শীত পড়তেই অন্য বছরের মতো এ বারও জেলার বিভিন্ন বাজারে শুরু হয়েছে কচ্ছপ বিক্রি। কোথাও প্রকাশ্যে কোথাও আবার গোপনে চলছে ঢালাও কারবার। মধ্যমগ্রাম, বারাসত, হাবরা, অশোকনগর, বনগাঁ, গাইঘাটা, বাগদা, স্বরূপনগর, বসিরহাট সর্বত্র দেখা যাচ্ছে একই ছবি। কচ্ছপ বিক্রি করা বা কেনা সম্পূর্ণ বেআইনি জেনেও মানুষ তা বাজারে গিয়ে কিনছেন। বিক্রেতাদের বক্তব্য, ‘‘শীতের সময় বাজারে কচ্ছপের চাহিদা রয়েছে। বেশি লাভ হয় তাই বিক্রি করি।’’ জেলা পুলিশ ও বন দফতরের পক্ষ থেকেও অবশ্য ওই বেআইনি কচ্ছপ বিক্রি বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ শুরু করা হয়েছে। তবে এক পুলিশ অফিসারের কথায়, ‘‘মানুষ সচেতন না হলে সম্পূর্ণ ভাবে বিক্রি বন্ধ করা সম্ভব নয়।’’