—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তৃণমূলের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন তাঁর দলেরই কয়েক জন কাউন্সিলর। তাতে সমর্থন জানান বিজেপি বিধায়কেরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এক কংগ্রেস কাউন্সিলর। কিন্তু দলের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন তৃণমূল এবং বিজেপির কাউন্সিলরদের সঙ্গে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে গেলেন? এই প্রশ্ন তুলে ওই কাউন্সিলরকে শো কজ় করল কংগ্রেস।
জঙ্গিপুর পুরসভার ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল তৃণমূল। চেয়ারম্যান হন তৃণমূলের মফিজুল ইসলাম। কিন্তু ওই পুরবোর্ড নিয়ে গত এক বছর ধরে নানা বিতর্ক লেগেই আছে। এই পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার শাসকদলের ৮ এবং বিরোধীদের ৩ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। অভিযোগ তোলা হয়, উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুরবোর্ড ঠিকমতো কাজ করছে না। প্রতিবাদী কাউন্সিলরদের তালিকায় ছিলেন কংগ্রেসের জুম্মা খান। কিন্তু দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে অনাস্থা প্রস্তাবে সায় দেওয়ার অভিযোগে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে শো কজ় করল মুর্শিদাবাদ কংগ্রেস।
শো কজ় চিঠিতে জুম্মার উদ্দেশে বলা হয়েছে, ‘‘জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তরফে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সাক্ষর করেছেন আপনি। এই পদক্ষেপের আগে দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। দলের অনুমতি ছাড়া এমন অযাচিত পদক্ষেপ দলের ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছে। ফলে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আপনাকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’’ অন্যথায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।
অন্য দিকে, তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল বলেন, “শহরের কাজ ভালই চলছিল। রাস্তাঘাট সব উন্নত হয়েছে। হ্যাঁ, আবর্জনা ফেলার জায়গা নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে। সেটাও ঠিক হয়ে যাবে। আর অনাস্থার বিষয়টি দলকে জানিয়েছি। দল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।” তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, জঙ্গিপুর পুরসভার এই অন্তর্দ্বন্দ্বের নেপথ্যে বিধায়ক ও চেয়ারম্যানের সংঘাত দায়ী। কিন্তু এ নিয়ে কোনও পক্ষ বাইরে মুখ খুলতে নারাজ।