ফেরা: ডায়মন্ড হারবারে। ছবি: দিলীপ নস্কর
বিপিএল তালিকায় নাম নেই বলে দুঃস্থ পরিবারগুলি জাতীয় পরিবার সহায়তা প্রকল্পের টাকা পাচ্ছে না— ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন ব্লকগুলিতে এমনই অভিযোগ উঠেছে।
২০০৬ সালে বাম আমলে বিপিএল তালিকা তৈরি হয়েছিল। সে সময়ে অনেক ধনী ব্যক্তির নাম তালিকায় যুক্ত হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যাকে কেন্দ্র করে তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। তালিকা ঠিক করার জন্য তখন সাধারণ মানুষ বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ওই তালিকা আর ঠিক করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এরপরে কেটে গিয়েছে ১১ বছর। কিন্তু তালিকা নতুন করে তৈরি না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন দুঃস্থ মানুষ। প্রকৃত গরিব হয়েও ওই তালিকায় নাম নেই বলে বহু মানুষ সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
একাধিকবার ব্লক প্রশাসনে গিয়েও সুরাহা হয়নি বলে জানালেন বহু মানুষ। ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক শান্তনু বসু বলেন, ‘‘এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার বেশি পরিবারকে সাহায্যে করা হয়েছে। তবে বিপিএল তালিকা সংশোধন করার বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের কোনও উপার্জনশীল ব্যক্তি হঠাৎ মারা যান (আত্মহত্যা ছাড়া), তা হলে তাঁর পরিবার কেন্দ্রীয় সরকারের ওই প্রকল্পের মাধ্যেমে ৪০ হাজার টাকা পাবে। তবে ওই ব্যক্তির নাম বিপিএল তালিকায় নথিভুক্ত আছে, তার শংসাপত্র দেখাতে হবে। যা পঞ্চায়েত দেয়। ওই শংসাপত্র ব্লক প্রশাসনের কাছে জমা দিলেই মিলবে টাকা।
২০১৬ সালে ২৪ নভেম্বর মাসে রাজ্য সরকার সমব্যথী প্রকল্পে গরিব মানুষের সৎকারের জন্য দু’হাজার টাকা করে বরাদ্দ করে। অনেকে গরিব পরিবার সমব্যথী প্রকল্পের টাকা হাতে পেলেও জাতীয় পরিবার সহায়তা প্রকল্পের টাকা পাচ্ছে না।
রায়দিঘি গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত গিরি বলেন, ‘‘মীন ধরে কোনও রকমে জীবনযাপন করি। বিপিএল তালিকায় নাম নথিভুক্ত হয়নি। তাই কোনও সাহায্য পাই না। আদৌ এর কোনও সমাধান হবে কিনা জানি না।’’