Murder

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের নগ্ন দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার কিশোর

বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার সোহায় শ্বেতপুর পঞ্চায়েতের বাজিতনগর গ্রামে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের নগ্ন দেহ উদ্ধার হল পড়শির বাড়ির শৌচাগার থেকে। অভিযোগ, টাকা নিয়ে বচসার জেরে দশম শ্রেণির এক কিশোর তাকে খুন করেছে। বছর সতেরোর ওই কিশোর এবং তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার সোহায় শ্বেতপুর পঞ্চায়েতের বাজিতনগর গ্রামে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গলা টিপে খুন করা হয়েছে বালককে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার দেহ বাড়ি ফিরলে আর এক দফা উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্তের বাড়িতে ফের চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায় কিছু লোক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের বিরুদ্ধে এর আগেও এলাকায় গোলমাল পাকানোর অভিযোগ ছিল। একাধিক বাড়ি, খড়ের গাদায় আগুন লাগানো, শিশুকে মারধরের ঘটনায় তার নাম জড়ায়। মাস কয়েক আগে এমনই এক অপরাধের ঘটনায় গ্রামে সালিশি সভা বসে। ছেলের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়েছিল। বুধবার সন্ধে থেকে খোঁজ মিলছিল না বছর এগারোর বালকের। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। জানা যায়, সন্ধ্যার পরে ওই কিশোরের সঙ্গে তাকে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। গ্রামের মানুষ হাজির হয় কিশোরের বাড়িতে। দেখা যায়, ঘরের পাশে শৌচাগারের মধ্যে বালকের নগ্ন দেহ পড়ে রয়েছে। ছেলেকে নিয়ে ততক্ষণে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে বাবা-মা। ক্ষিপ্ত জনতা ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় বাড়িতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসা বাধে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মানুষ। পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করলে জ‌নতা শান্ত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মুস্তাফিজুর হাসান, ফিরোজ হোসেন, খুশি বিবিরা জানালেন, ছেলে দু’টি এক সঙ্গে খেলাধূলা করত। কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। মৃত বালকের মা বলেন, ‘‘আমার ছেলেটা কী এমন অপরাধ করল, যে তাকে খুন করল ও। এমন ছেলের অপরাধ ধামাচাপা দিতে যে বাবা-মা পালানোর চেষ্টা করে, তারাও কম অপরাধী নয়।’’ পুলিশের দাবি, ধৃত কিশোর তাদের জানিয়েছে, ওই বালক কিছু টাকা দিয়েছিল তাকে। সেই টাকা ফেরত চেয়েছিল। এই নিয়ে মারপিট বাধে। সে সময়ে সঙ্গীর গলা টিপে ধরে কিশোর। ছটফট করতে করতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে ছেলেটি। ভয়ে বাড়ির পাশে শৌচাগারে দেহ ফেলে রেখে সে পালায়।’’ এই দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃতের কাকা বলেন, ‘‘ওর পরনের লুঙ্গির হদিস মেলেনি। শরীর ভিজে ছিল। কয়েকজন মিলে জলে ডুবিয়েও মারতে পারে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement