Coronavirus

কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি নিয়ে ক্ষোভ

অশোকনগরে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় যাতে কোয়রান্টিন সেন্টার বানানো না হয়, সে দাবি তুলেছেন বাম কর্মী-সমর্থকেরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ০৬:১৪
Share:

প্রতিবাদ: অশোকনগরে। ছবি: সুজিত দুয়ারি

জনবসতি-সংলগ্ন এলাকায় কোয়রান্টিন সেন্টার করা যাবে না, এই দাবিতে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখালেন মানুষজন।

Advertisement

অশোকনগর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। রবীন্দ্র প্রাথমিক শিক্ষা নিকেতন স্কুলে কোয়রান্টিন সেন্টার হওয়ার কথা। এলাকাটি জনবসতিপূর্ণ। শনিবার ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। বাঁশ দিয়ে স্কুলে যাওয়ার রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার প্রশাসক প্রবোধ সরকার জানান, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা হয় তো বুঝতে পারছে না ওখানে শুধুমাত্র পরিযায়ী শ্রমিকদেরই রাখা হবে। আক্রান্তদের নয়।’’

অশোকনগরে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় যাতে কোয়রান্টিন সেন্টার বানানো না হয়, সে দাবি তুলেছেন বাম কর্মী-সমর্থকেরাও। শনিবার দুপুরে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার গেটের সামনে বসে অবস্থান করেন তাঁরা। সিপিএম নেতা চিত্ত বিশ্বাস জানান, পাড়ায় পাড়ায় এ ভাবে কোয়রান্টিন সেন্টার খোলা যাবে না। ফাঁকা জায়গা দেখে তবেই সেন্টার তৈরি করতে হবে। পুরপ্রশাসকের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে।

Advertisement

বনগাঁ শহরের ১৮টি স্কুলে নিভৃতবাস তৈরি করা হয়েছে প্রশাসন ও পুরসভার তরফে। বৃহস্পতিবার পরিযায়ী শ্রমিকদের স্কুলে রাখার বিরোধিতা করে কিছু মানুষ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। ফলে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্কুলে রাখা সম্ভব হয়নি। নীলদর্পণ অডিটোরিয়ামের বারান্দায় রাখা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে বনগাঁ থানার আইসি মানস চৌধুরী এবং পুরসভার পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্য পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্কুলে স্কুলে তুলে দিয়েছেন। ভেলোর থেকে অস্ত্রোপচার করিয়ে ফেরা ব্যক্তিকে শুক্রবার রাতে ঘরে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ ও বনগাঁ পুরসভা।

শঙ্কর বলেন, ‘‘কেউ বিরোধিতা করলে পুলিশ-প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করবে। স্কুলে থাকা শ্রমিকদের পুরসভার তরফে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’’

নিজেদের উদ্যোগে ফেরা কিছু পরিযায়ী শ্রমিক বনগাঁ শহরের রাস্তায় ঘুরছেন বলে অভিযোগ। পুরসভার থেকে মাইকে প্রচার করে বলা হচ্ছে, কেউ বাইরে থাকবেন না। স্কুলে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে চলে যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন