হাবরার ধৃত ছাত্রীর পাশে সেভ ডেমোক্রেসি

রবিবার ওই সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তিনজন সদস্য ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান। তাঁরা ওই ছাত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। চঞ্চলবাবু তাঁদের বলেন, ‘‘সংগঠনের পক্ষ থেকে আপনাদের সহযোগিতা করা হবে। ২১ সেপ্টেম্বর যখন ওই ছাত্রীকে আদালতে তোলা হবে তখন আমরাও সেখানে উপস্থিত থাকব।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাবরা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রেমিককে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ধৃত হাবরার স্কুলছাত্রীর পাশে দাঁড়াল ‘সেভ ডেমোক্রেসি’। তার জন্য নিখরচায় সব রকম আইনি পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সংগঠনটি।

Advertisement

রবিবার ওই সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তিনজন সদস্য ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান। তাঁরা ওই ছাত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। চঞ্চলবাবু তাঁদের বলেন, ‘‘সংগঠনের পক্ষ থেকে আপনাদের সহযোগিতা করা হবে। ২১ সেপ্টেম্বর যখন ওই ছাত্রীকে আদালতে তোলা হবে তখন আমরাও সেখানে উপস্থিত থাকব।’’ পরে চঞ্চলবাবু বলেন, ‘‘সংগঠনের পক্ষ থেকে বিনা খরচে পরিবারটিকে সব রকমের আইনি পরিষেবা দেওয়া হবে।’’ পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীকে সল্টলেকের জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে। চঞ্চলবাবুদের পাশে পেয়ে স্বস্তি ওই ছাত্রীর বাবা-মায়েরও। কারণ এতদিন পর্যন্ত তাঁরা কাউকে পাশে পাননি। দিন দু’য়েক আগেই মেয়েটির মা বলেছিলেন, ‘‘আমরা একা। কী করব, কিছুই বুঝতে পারছি না। মেয়ের ভবিষ্যৎটা নষ্ট হয়ে গেল।’’

৬ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে স্থানীয় এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেভ ডেমোক্রেসির রাজ্য সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তী জানান, অভিযোগ হওয়ার পরদিন সকালেই পুলিশ ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করে। পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কারণ আদালতের নির্দেশ রয়েছে, কেউ কোনও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে, তার প্রেক্ষিতে অন্যপক্ষ যদি আত্মহত্যা করে তাহলে সেটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা হিসাবে গণ্য হতে পারে না। তা ছাড়া অভিযোগ হলেই দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করাটাও বাধ্যতামূলক নয়।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ সেপ্টম্বর বিকেলে নিজের বাড়িতে গলায় ধুতির ফাঁস জড়িয়ে আত্মহত্যা করে স্থানীয় হাড়িয়া পদ্মাপল্লি এলাকায় যুবক সুজয় মণ্ডল। সে স্থানীয় বাণীপুর বাণী নিকেতন স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। ওই ঘটনার পর মৃতের দাদা বিশ্বজিৎ থানায় ভাইয়ের প্রেমিকার নামে ভাইকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু করে। পুলিশ কেন ৩০৬ ধারায় ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করল। পুলিশের বক্তব্য, ‘‘কোন মামলাতে পুলিশ কোন ধারা দেবে তা পুলিশের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না। অভিযোগকারীর বয়ানের উপর ভিত্তি করে মামলাতে ধারা বসানো হয়।’’

এ দিন প্রতিনিধি দলটি হাবরা থানাতেও যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন