flood

Flood: নোনা জলে ভেসে গেল বহু এলাকা

বঙ্গোপসাগরে জলস্ফীতির জেরে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জের হাতিকর্নার এবং দাসকর্নার এলাকা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২২ ০৭:৩৬
Share:

জলবন্দি: প্লাবিত এলাকায় চলছে ভেলা। শুক্রবার বঙ্কিমনগরে। নিজস্ব চিত্র।

কটালের জেরে জলোচ্ছ্বাসে ফের প্লাবিত হল এলাকা। বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবারও দুই জেলার একাধিক এলাকায় নদীর জল ঢুকে পড়েছে।

Advertisement

এ দিন দুপুরে হিঙ্গলগঞ্জের উত্তর মামুদপুর এলাকার কুনিয়াখালি স্লুস গেটের একাংশ ভেঙে যায়। গৌড়েশ্বরী নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয় মামুদপুর, কেওড়াখালি ২০ নম্বর-সহ বিভিন্ন এলাকা। জলমগ্ন হয়ে পড়ে নদীর পাড়ের কয়েকটি বাড়ি, মেছোভেড়ি।

আমন ধান চাষের মুখে এ ভাবে নোনা জল ঢুকে পড়ায় মাথায় হাত চাষিদের। গত বছর ইয়াসে নদীর জল ঢুকে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল এই সব এলাকায়। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে, ফের বড় ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও সেচ দফতরের তরফে অবশ্য দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

সন্দেশখালির তালতলা এলাকায় রায়মঙ্গল নদীর জল বাঁধ উপচে এলাকায় ঢুকেছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। মেছোভেড়িতে নোনা জল ঢুকে পড়ায় মাছ চাষে ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা হারান মণ্ডল, পরেশ দাস, প্রণব সরকারেরা জানান, যে ভাবে নদীর জল বাড়ছে, তাতে বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সন্দেশখালির মণিপুর পঞ্চায়েতের বোয়ালিয়রচক এলাকায় রায়মঙ্গল নদীর বাঁধ কয়েকদিন ধরেই বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। ঢেউয়ের ধাক্কায় সরু হয়ে গিয়েছিল বাঁধ। শুক্রবার সেচ দফতরের তরফে সেখানে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।

সাগরের বঙ্কিমনগরে বৃহস্পতিবার বটতলা নদীর বাঁধ ভেঙে বড় এলাকা প্লাবিত হয়। শুক্রবারও সেই ভাঙা অংশ দিয়ে জল ঢুকেছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা সাদ্দাম গাজি বলেন, “ঘরবাড়ি নোনা জলে ভাসছে। আমরা ত্রাণ চাই না। স্থায়ী নদীবাঁধ চাই। যাতে বার বার এই পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়।’’ আর এক বাসিন্দা শাকিলা বিবি বলেন, “মুড়ি খেয়ে পড়ে আছি। নোনা জল নামলে তবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব। প্রশাসনকে অনুরোধ, কংক্রিটের নদীবাঁধ তৈরি করা হোক।”

বঙ্গোপসাগরে জলস্ফীতির জেরে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জের হাতিকর্নার এবং দাসকর্নার এলাকা। ঈশ্বরীপুর এলাকাতেও হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, সেচ দফতরের সহযোগিতায় বেহাল ও ভেঙে যাওয়া বাঁধগুলি মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন