Bhangar

ঝাড়ফুঁকের নামে অসুস্থ বধূকে ধর্ষণের চেষ্টা! বাধা দেওয়ায় হুমকি, ‘উধাও’ ওঝার খোঁজে পুলিশ

অভিযোগকারিণী জানান, ঝাড়ফুঁকের জন্য নলমুড়িতে এক ‘তদবির খানায়’ গিয়েছিলেন। হাসানুজ্জামান নামে ওঝা তাঁর পরিবারের সদস্যদের বাইরে বার করে দিয়ে চিকিৎসার নামে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ভাঙড়  শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ ১২:১১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সব শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার চিকিৎসা করেন তিনি। বিজ্ঞাপনী প্রচারে ভুলে ওঝার দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক বধূ। চিকিৎসার নাম করে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই ওঝা বলে অভিযোগ। এ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বধূ। অন্য দিকে, পুলিশ খুঁজছে শুনেই ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাঙড়ের নলমুড়ি এলাকায় ‘কবিরাজ’ হয়ে পসার জমিয়ে বসিয়েছিলেন অভিযুক্ত। তাঁর কাছে দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে হাজির হতেন মানুষ। স্থানীয়েরা বলছেন ওই ওঝার বেশির ভাগ ‘রোগী’ই মহিলা। আগে এমন অভিযোগ তাঁরা শোনেননি। তবে এ বার ওই ওঝা এক মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারিণী জানান, বেশ কিছু দিন ধরে তিনি শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ঝাড়ফুঁকের জন্য নলমুড়িতে এক ‘তদবির খানায়’ গিয়েছিলেন। হাসানুজ্জামান নামে ওঝা তাঁর পরিবারের সদস্যদের বাইরে বার করে দিয়ে চিকিৎসার নামে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন। পাশাপাশি তাঁকে ধর্ষণেরও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ওঝার ‘চেম্বার’ থেকে বেরিয়ে এসে স্বামীকে ঘটনার কথা খুলে বলেন বধূ। এর পর মঙ্গলবার রাতে তাঁরা ভাঙড় থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগকারিণীর কথায়, ‘‘আমার শারীরিক অসুস্থতা ছিল। তাই কবিরাজের কাছে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে স্বামী এবং দিদি ছিল। ওদের ঘর থেকে বার করে দিয়ে চিকিৎসার নামে আমায় ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। ভয় দেখানো হয় আমাকে। ফল ভাল হবে না বলে শাসানো হয়।’’

Advertisement

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত ওঝার খোঁজ মেলেনি। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, দু’বছর আগে নলমুড়ি এলাকায় ঘরভাড়া নিয়ে ঝাড়ফুঁকের ‘চিকিৎসা’ করতেন। রফিকুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক দোকানদারের কথায়, ‘‘দু’বছর উনি এখানে দোকান ভাড়া নিয়েছিলেন। বোর্ডে নানা রকম সমস্যার সমাধান করা হবে বলে লিখে রেখেছিলেন। মঙ্গলবার বিকালের পর থেকে ‘চেম্বার’ বন্ধ দেখছি।’’ এই অভিযোগের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন