দেওয়াল লিখছেন সওকত মোল্লা।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ১১টি বিধানসভার সব ক’টিই তৃণমূলের দখলে ছিল। মাঝে তৃণমূলের অন্দরের কোন্দল বিরোধীদের ভাবিয়েছিল মূলত যে তিনটি আসন নিয়ে, সেগুলি হল ব্যারাকপুর, বীজপুর ও জগদ্দল।
তিনটি আসনই বকলমে মুকুল রায়ের নামে ভোট হয়েছিল গতবার। মাঝে মুকুলবাবু কিছুটা অন্তরালে চলে যাওয়ায় নানা জল্পনা দানা বেঁধেছিল ওই তিন আসনে শাসক দলের প্রার্থী কারা হবেন, তা নিয়ে। কিন্তু ভোটের আগে দলে মুকুলবাবুর অবস্থান যেমন বদলেছে, সঙ্গে সঙ্গে অন্তত দু’টি আসনে যে স্থিতাবস্থাই বজায় থাকতে চলেছে, তা মোটামুটি নিশ্চিতই ছিল। জগদ্দল নিয়ে একটা প্রশ্ন অবশ্য থেকেই গিয়েছিল শেষ পর্যন্ত।
জগদ্দলের বিধায়ক পরশ দত্তর বিরুদ্ধে দলের একটা বড় অংশের ক্ষোভ গত নির্বাচনের পর থেকেই কাজ করছিল। পাশের বিধানসভা ভাটপাড়ায় তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংহের সঙ্গে পরশবাবুর সুসম্পর্ক না থাকায় শিল্পাঞ্চলে অর্জুন-শিবির কখনওই পরশবাবুর পাশে থাকেনি। বিধায়ক নিজেও এলাকার উন্নয়ন নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাননি বলে অভিযোগ। যদিও শেষমেশ পরশবাবুই আবার প্রার্থী হয়েছেন।
বীজপুরে মুকুলবাবুর ছেলে শুভ্রাংশুর প্রার্থী হওয়া নিয়েও তৃণমূলের মুকুল-বিরোধী শিবিরের তরফে ইন্ধন জোগানোর চেষ্টা কম হয়নি। তবে নিজেকে বরাবরই মমতার ‘স্নেহধন্য’ বলেই জাহির করেছেন শুভ্রাংশু। এলাকার উন্নয়ন নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে তেমন অভিযোগ ছিল না। সব মিলিয়ে শুভ্রাংশুর পাল্লা কখনওই তেমন হাল্কা হয়নি।
বরং ব্যারাকপুরে শীলভদ্র দত্ত মুকুলবাবুর অন্তরালে যাওয়ার পরে নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছিলেন। এক সময়ে দল থেকে সাসপেন্ড হয়েও পরে ফিরিয়ে নেওয়া হয় শীলভদ্রবাবুকে। এ বার প্রার্থীও হলেন তিনি।
তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর কথায়, ‘‘গতবারের থেকেও বেশি ভোট পাবে তৃণমূল।’’