ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ডায়মন্ড হারবার লোকসভার কেন্দ্রের মহেশতলার ৭ নম্বর ওয়ার্ড গত কয়েক দিন ধরে অশান্ত ছিল। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ‘সংঘর্ষে’ ক্ষতিগ্রস্ত দোকান এবং বাড়িমালিকদের সমস্ত রকমের সাহায্যপ্রদানের নির্দেশ দিলেন সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ স্থানীয় নেতৃত্বকে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। অবিলম্বে যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানো হয় এবং তাঁদের সাহায্য দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে দলের কর্মীদেরও জানানো হয়েছে।
গত বুধবার মহেশতলার ১২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় অশান্তি হয়। রবীন্দ্রনগর থানার অনতিদূরে ওই গন্ডগোল থামাতে গিয়ে জখম হন একাধিক পুলিশকর্মীও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাফ নামাতে হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেই স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। তবে সে দিনের অশান্তিতে বেশ কয়েকটি দোকান ভেঙেছে। অনেকের বাড়িতেও হামলা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের সব রকম সহায়তা করার জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে পদক্ষেপ করতে বলেছেন অভিষেক।
অন্য দিকে, মহেশতলায় অশান্তির পর রাজ্য পুলিশে রদবদল হয়েছে। শনিবার বদলি করা হয়েছে রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিয়াকে। তাঁকে দার্জিলিঙে পাঠানো হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানার আইসি-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মালদহের রতুয়ার সার্কেল ইনস্পেক্টর সুজনকুমার রায়কে। মহেশতলার এসডিপিও-কেও বদল করা হয়েছে। কামরুজ্জামান মোল্লাকে স্টেট আর্মস পুলিশের থার্ড ব্যাটেলিয়নে পাঠানো হয়েছে। তাঁর জায়গায় মহেশতলার নতুন এসডিপিও হচ্ছেন সৈয়দ রাজিবুল কবীরকে। তিনি রাজারহাট থানার আইসি ছিলেন।
মহেশতলায় অশান্তির পরে পুলিশের এই রদবদল কি না, প্রশ্ন উঠেছে। তবে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটি ‘রুটিন বদলি।’ বস্তুত, গত ৯ জুন, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারকে বদলি করা হয়েছিল। অজয়কুমার ঠাকুরকে কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে পাঠানো হয়েছে সিআইডি ডিআইজি পদে। ব্যারাকপুরের নতুন কমিশনার হয়েছেন মুরলীধর শর্মা।