Bakkhali

নিউ বকখালিতে পরিকাঠামোর অভাব

বুধাখালি গ্রামের কাছে বছর পাঁচেক আগে পিকনিক স্পটটি তৈরি হয়। পর্যটকরাও আসতে শুরু করেন।

Advertisement

দিলীপ নস্কর 

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫৩
Share:

আবর্জনা: পিকনিক স্পটের হাল। — নিজস্ব চিত্র

মুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ঝাউ জঙ্গলে ঘেরা মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে পিকনিক স্পট। কিন্তু নামখানা ব্লকের বুধাখালি গ্রামের ওই পিকনিক স্পটে পানীয় জল, শৌচালয়-সহ প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই বলে অভিযোগ। যার জেরে নাজেহাল হচ্ছেন পর্যটকেরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনকে জানানো হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

Advertisement

বুধাখালি গ্রামের কাছে বছর পাঁচেক আগে পিকনিক স্পটটি তৈরি হয়। পর্যটকরাও আসতে শুরু করেন। মুড়িগঙ্গা নদীর ধার বরাবর প্রায় আড়াই কিলোমিটার জুড়ে তৈরি এই স্পটটি বছর দু’য়েকের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে ওঠে। বকখালি পিকনিক স্পটের মতো দেখতে হওয়ায় এর নাম দেওয়া হয় ‘নিউ বকখালি’। শীতের ক’মাস জেলা ও জেলার বাইরে থেকে শ’য়ে শ’য়ে পর্যটক এখানে ভিড় জমান। মুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ঝাউ, কেওড়া, বানি, গরান, সুন্দরী গাছের জঙ্গলে দিনভর কাটিয়ে বাড়ি ফেরেন।

কিন্তু জায়গাটির পরিকাঠামো নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। শৌচালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। শৌচালয় না থাকায় মহিলা ও কচিকাঁচাদের সমস্যায় পড়তে হয়। প্রয়োজন হলে স্থানীয় ক্লাব বা আশেপাশের কোনও বাড়ির শৌচালয়ে যেতে হয়। পানীয় জল নিয়েও সমস্যার শেষ থাকে না। বিশেষ করে রান্নার জল জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়। বাধ্য হয়ে গ্রামের নলকূপ থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এতদিন ধরে পিকনিক স্পটটি চালু হলেও কোনও পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। অথচ ফি বছর ছুটির দিনগুলিতে ভিড় সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। জায়গাটির রক্ষণাবেক্ষণেরও কোনও ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ। পর্যটকেরা এসে যত্রতত্র প্লাস্টিকের প্লেট, গ্লাস, বোতল ফেলে যান। সাফ না হওয়ায় জঞ্জাল জমে আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়।

Advertisement

এলাকাবাসীর দাবি, এখানে শৌচালয় ও জলের ব্যবস্থা হোক। অন্তত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি, এই দু’মাসের জন্য অস্থায়ী শৌচালয় ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল দিক প্রশাসন।

নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা মালি মণ্ডল বলেন, “ওই পিকনিক স্পটে শিশুদের পার্ক ও শৌচালয় তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু করা হবে। অস্থায়ী ভাবে পানীয় জল ও শৌচালয় ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন