দেগঙ্গার গ্রামে পুড়ল আলাঘর, ভাঙচুর বাড়ি

বাইকের ধাক্কা নিয়ে তুলকালাম

মোটর বাইকের ধাক্কা লেগেছিল একজনের। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ি ভাঙচুর, মেছোভেড়ি লুঠ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুর পঞ্চায়েতের মঙ্গলনগর গ্রামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৩
Share:

লুঠপাট: দেগঙ্গায় তোলা নিজস্ব চিত্র

মোটর বাইকের ধাক্কা লেগেছিল একজনের। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ি ভাঙচুর, মেছোভেড়ি লুঠ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুর পঞ্চায়েতের মঙ্গলনগর গ্রামে। বুধবার রাতে ঘটনার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার তাদের বারাসত জেলা আদালতে পাঠায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বেড়াচাঁপায় বাসন্তী পূজা দেখে ফেরার পথে মঙ্গলনগরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন সুবীর দাস নামে মেছো ভেড়ির এক ম্যানেজার। গ্রামের তিন যুবক মোটর বাইকে এসে বাড়ির তাঁকে ধাক্কা মারে। দু’পক্ষের বচসা বাধে। তখনকার মতো মিটমাটও হয়ে যায়।

অভিযোগ, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তিন যুবক দলবল নিয়ে জনৈক বিমল মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালায়। বিমলবাবুর বাড়ির সামনেই বাইক নিয়ে ধাক্কা লাগার ঘটনাটি ঘটেছিল। সুবীরের খোঁজে যুবকের দল মেছোভেড়িতেও যায়।

Advertisement

খবর পেয়ে পালান সুবীর। তাঁকে খুঁজে না পেয়ে ভেড়িতে থাকা নগদ বেশ কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় হামলাকারীরা। ভেড়ির আলাঘরে আগুনও ধরিয়ে দেয়।

সুবীরবাবু জানান, কলকাতার এক মালিকের প্রায় ৯০ বিঘা মেছোভেড়ির দায়িত্ব তিনি সামলান। একটা ছোট ঘটনা নিয়ে যে ভাবে আক্রমণ হল, তাতে তিনি আতঙ্কিত। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে ধরে ফেললে হয় তো প্রাণেই মেরে দিত। হামলাকারীদের দলে ৭-৮ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী ছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন