স্বামীকে খুনের অভিযোগে ধৃত স্ত্রী 

স্বামীকে ফলের রসের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাইয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল স্ত্রী।  শুক্রবার রাতে হরিণঘাটা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। শনিবার সকালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩২
Share:

ধৃত: রাধারানি মণ্ডল।

স্বামীকে ফলের রসের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খাইয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল স্ত্রী। শুক্রবার রাতে হরিণঘাটা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। শনিবার সকালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার নাম রাধারানি মণ্ডল। তিনি বাগদার একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। মৃতের মা হরিদাসী মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে রাধারানিকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিন তাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম দুলাল মণ্ডল (৪০)। তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি বারাসতের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মারা গিয়েছেন। পুলিশের দাবি, মৃত্যুর আগে দুলাল তদন্তকারী অফিসারদের জবানবন্দি দিয়ে জানিয়ে ছিলেন, স্ত্রী তাঁকে কীটনাশক খাইয়ে ছিল।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই দুলালের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বছর ১২ আগে বাগদার বাজিতপুরের বাসিন্দা দুলাল মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা রাধারানির। তাঁদের আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

মৃতের মা পুলিশে অভিযোগে জানিয়েছেন, বিয়ের পর ছেলে-বৌমা সুখেই সংসার করছিলেন। কিছুদিন আগে সাংসারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি বাধে। হরিদাসী বলেন, ‘‘ছেলে বৌমাকে অনেক বুঝিয়েছিলাম। কিন্তু অশান্তি থামেনি। উল্টে বৌমা নাতনিকে নিয়ে ৫ মাস আগে পশ্চিমপাড়াতে ভাড়াবাড়িতে চলে যায়। ছেলে ফোন করে বৌমাকে বাড়ি ফিরতে অনুরোধ করলেও কাজ হয়নি।’’

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি দুলাল স্ত্রী ও মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে পশ্চিমপাড়াতে স্ত্রীর ভাড়া বাড়িতে যান। ওই দিন রাতে তিনি সেখানে ছিলেন। পরদিন দুলাল বাড়ি ফিরে যান।

অভিযোগ, বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর থেকে দুলাল শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়াতে তাঁকে বারাসতের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে দুলাল মারা যায়। এরপরই হরিদাসী বৌমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

হরিদাসী বলেন, ‘‘ছেলেকে বৌমা মেরে ফেলেছে। আমি ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন