সাংসারিক অশান্তির জেরে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার হায়দারবেলিয়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম আরিফুল মণ্ডল (৩০)।
তাঁর পরিবারের দাবি, আরিফুলকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে তাঁর স্ত্রী মমতা-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আরিফুলের বাবা শামসুর হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয়েছিল আরিফুলের। পাত্রী অশোকনগর থানার খোশদেলপুর এলাকার বাসিন্দা মমতা। তাঁদের সাড়ে তিন বছরের একটি শিশুকন্যা রয়েছে। আরিফুল রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ নভেম্বর মমতার সঙ্গে তাঁর জা লিপিকার সাংসারিক বিষয় নিয়ে গোলমাল হয়। লিপিকার স্বামী আবু হোসেন মণ্ডল তা নিয়ে মমতার উপরে চোটপাট করেন।অভিযোগ, পর দিন মমতা হাবড়া থানায় আবুর বিরুদ্ধে তাঁর শিশুকন্যাকে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। যা মেনে নিতে পারেননি আরিফুল। মমতা অভিযোগ মিথ্যা বলে মনে করতেন তিনি। এই নিয়ে আরিফুল ও মমতার মধ্যে বচসা হয়।মেয়েকে নিয়ে মমতা বাপের বাড়ি চলে যান। অভিযোগ, তারপর থেকে ফোনে মমতা, তাঁর বাবা-মা সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন আরিফুলকে মানসিক চাপ দিচ্ছিলেন।শনিবার সকালে আরিফুল বাড়ির কাছেই কীটনাশক খান। তাঁকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দুপুরে মারা যান। সন্ধ্যায় শামসুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।