দুষ্কৃতী গ্রেফতারের প্রতিবাদে অবরোধ

মাদক পাচারের চেষ্টার অভিযোগে এক দুষ্কৃতীর গ্রেফতার হওয়াকে ঘিরে রবিবার সরগরম হল অশোকনগরের রাধা কেমিক্যাল মোড় এলাকা। ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে পারেননি তার পাড়া-পড়শিদের একাংশ। গ্রেফতারির প্রতিবাদে তাঁরা ওই মোড়ে জিরাট রোড সকাল সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা অবরোধ করেন। ফলে, নাকাল হন সাধারণ যাত্রীরা। ব্যাপক যানজট হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অশোকনগর শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৪১
Share:

লাঠি উঁচিয়ে অবরোধ তুলে দিচ্ছে পুলিশ। রবিবারের নিজস্ব চিত্র।

মাদক পাচারের চেষ্টার অভিযোগে এক দুষ্কৃতীর গ্রেফতার হওয়াকে ঘিরে রবিবার সরগরম হল অশোকনগরের রাধা কেমিক্যাল মোড় এলাকা।

Advertisement

ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে পারেননি তার পাড়া-পড়শিদের একাংশ। গ্রেফতারির প্রতিবাদে তাঁরা ওই মোড়ে জিরাট রোড সকাল সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা অবরোধ করেন। ফলে, নাকাল হন সাধারণ যাত্রীরা। ব্যাপক যানজট হয়। অবরোধস্থলে গিয়ে স্থানীয় পুরপ্রধান তৃণমূলের সমীর দত্ত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের জন্য ফোনে পুলিশের কাছে কৈফিয়ত চান বলে দাবি আটকে পড়া কিছু যাত্রীর। সমীরবাবু সে কথা মানেননি। এ নিয়ে পুলিশও কোনও মন্তব্য করেনি। শেষমেশ পুলিশ গিয়ে লাঠি চালিয়ে অবরোধ তোলে। গ্রেফতার করা হয় চার জনকে।

ধৃতের নাম গোপাল দে ওরফে সূচো গোপাল। তার বাড়ি রাধা কেমিক্যাল মোড় এলাকাতেই। তার কাছ থেকে ২২ কেজি গাঁজা মিলেছে জানিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধায় বলেন, “সূচো গোপালকে মাদক পাচারের অভিযোগে ধরা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুন- তোলাবাজি-সহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকারও মামলা রয়েছে।”

Advertisement

রাধা কেমিক্যাল মোড় এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, গোপাল চোলাই মদের কারবারেও জড়িত। পড়শি কিছু বাড়িতে সে ওই চোলাই রাখে। বিক্রির টাকার ভাগও পান ওই সব বাড়ির বাসিন্দারা। তাই গোপালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে এ দিনের ওই অবরোধ। যদিও অবরোধকারীদের দাবি, গোপালের নামে আগে বহু অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে সে কোনও অসামাজিক কাজে জড়িত ছিল না। তাকে পুলিশ মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে। এ দিন সে মেয়েকে নিয়ে বাজারে গিয়েছিল। পুলিশ গোপালের সঙ্গে মেয়েকেও থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ অবশ্য গোপালের মেয়েকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা মানেনি।

পুরপ্রধান সমীরবাবু মেনে নিয়েছেন এ দিন অবরোধের সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর দাবি, “অবরোধস্থলটি আমার ওয়ার্ডের মধ্যেই পড়ে। পাশেই মিলেনিয়াম পার্কে বহু মানুষ এসেছিলেন। তাঁদের যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্যই অবরোধকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করেছিলাম। পুলিশের কাছে শুধু গোপালকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চেয়েছিলাম। ঠিক কৈফিয়ত নয়। গোপালকে ছাড়তেও বলিনি।” অবরোধের সময়ে ওই রাস্তায় যাচ্ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের ধীমান রায়ও। তাঁর অভিযোগ, “গোপাল সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতী। অবরোধকারীদের মধ্যে কিছু সিপিএমের লোক এবং গোপালের কারবারে জড়িত মহিলারা ছিলেন।” অভিযোগ উড়িয়ে অশোকনগরের প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের সত্যসেবী করের দাবি, “গোপাল অতীতে গ্রেফতার হওয়ার পর কারা তাকে ছাড়াতে থানায় গিয়েছিল বা এ বার কারা তাকে ছাড়াতে থানায় যোগাযোগ করছেন, তা এলাকার সকলেই জানেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন