আসামী মনে করে এক মহিলাকে জোর জবরদস্তি গ্রেফতার করতে গিয়ে পুলিশের হাত ফস্কে পালাল আসল অভিযুক্ত। এ দিকে নিরপরাধ মহিলাকে হেনস্থার প্রতিবাদে পুলিশের উপরে জনতা চড়াও হলে উভয় পক্ষের ধস্তাধস্তিতে বুধবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় বাদুড়িয়ার ফতুল্লপুর গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাদুড়িয়ার সাহেস্থানগর গ্রামের বাসিন্দা সকিনা বিবির বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। তার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছিল। এ দিন সূত্রের খবর অনুযায়ী সকিনাকে ধরতে স্থানীয় কাটিয়াহাট চৌকির পুলিশ ফতুল্লপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায় সন্ধে ৭টা নাগাদ হানা দেয়। সকিনার আত্মগোপনের ডেরা মনে করে একটি বাড়িতে হানা দিয়ে তার গৃহকর্ত্রী ছকিনা বিবিকে ধরেও ফেলে তারা। তত ক্ষণে পুলিশ দেখে হতবাক ছকিনা। পুত্রবধূ খুনের কোনও ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত নয়, বারবার সে কথা বোঝানোর চেষ্টা করলেও পুলিশ তা কানে তোলেনি বলে তাঁর দাবি।
অন্য দিকে, পুলিশের হম্বিতম্বি এবং মহিলার চিৎকারে দেখতে দেখতে ঘটনাস্থলে কয়েক শো মানুষ জড়ো হয়ে যান। তাঁরাও নানা ভাবে পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, ছকিনা নিরীহ মানুষ, তাঁর ছেলে মুম্বইতে কর্মরত, খুনের কোনও ঘটনাই এলাকায় ঘটেনি। কিন্তু তাতেও পুলিশ নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে ছকিনাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অবস্থা বেগতিক বুঝে আরেক বার নিশ্চিত হতে আশপাশে খবর নিয়ে পুলিশ জানতে পারে ছকিনা আর অভিযুক্ত সকিনা এক নন। তবে যাকে ধরতে ঘটনার ঘনঘটা, হট্টগোলে বিপদ আঁচ করে তত ক্ষণে এলাকা ছেড়েছে সে।
খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেলওয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কোনও রকমে উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে শান্ত করেন। দেলওয়ার বলেন, “শুধু মাত্র সূত্রের কথায় ভর করে সঠিক তথ্য না নিয়ে তল্লাশি করায় বড় রকম বিপদ হতে যাচ্ছিল। নামের মিল থাকলেও দু’জন আলাদা মহিলা, সময় মতো পৌঁছে পুলিশকে সে কথা বোঝালে তারা ভুল বুঝতে পারে। শান্ত হয় জনতা।”