বারাসতের নবপল্লি এলাকার একটি সমবায় ব্যাঙ্কের লকারে মেয়ের বিয়ের গয়না রেখেছিলেন এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, ওই লকার থেকে সব গয়না উধাও হয়ে গিয়েছে। গয়না ফিরে পেতে তিনি বারাসত থানার পুলিশ, সিআইডি-র সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু মহিলার অভিযোগ, তাঁকে কেউ ন্যূনতম সাহায্যও করেননি। শেষমেশ গয়না ফেরতের আশায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা।
রত্না গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই মহিলার আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় সোমবার জানান, লকারে রাখা গয়না ঠিক মতো আছে কি না, তা দেখতে গত বছরের ৫ অক্টোবর সকালে তাঁর মক্কেল ওই সমবায় ব্যাঙ্কে যান। লকার রুমে ঢুকে রত্নাদেবী দেখেন, লকার খোলা। গয়না নেই। সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে সাক্ষী রেখে তিনি সঙ্গে সঙ্গে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই দিনই অভিযোগ জানান বারাসত থানাতেও। এর চার দিন পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক অধিকর্তার কাছে রত্নাদেবী অভিযোগ করেন, লকার থেকে গয়না উধাওয়ের ঘটনায় সমবায় ব্যাঙ্কের অফিসারদের একাংশও জড়িত। আঞ্চলিক অধিকর্তা যেন বিভাগীয় তদন্ত করেন। শেষে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ওই মহিলা অভিযোগ জানান রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ‘আর্বান ব্যাঙ্কিং’ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে।
গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে রত্নাদেবীর দাবি, গয়না ফেরত পেতে গত এক মাস ধরে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার, ডিআইজি (সিআইডি) এমনকী রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে বহু বার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু গয়না ফেরত পাওয়া তো দূর অস্ৎ, তাঁর সঙ্গে কেউ যোগাযোগ পর্যন্ত করেননি।