প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের সঙ্গেই মামলায় নাম জড়িয়েছিল তাঁদের। দাসপুর থানার সোনা প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিন পুলিশ আধিকারিক। আর খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় এক গরু ব্যবসায়ীর দায়ের করা টাকা লুট এবং মারধরের মামলায় নাম জড়িয়েছিল আরও দুই পুলিশ আধিকারিকের। ‘ভারতী ঘনিষ্ঠ’ পশ্চিম মেদিনীপুরের সেই পাঁচ পুলিশ আধিকারিককে এক লপ্তে বদলি করা হল উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই বদলির নির্দেশ জেলায় এসেছে। ঘাটাল থানার প্রাক্তন ওসি চিত্ত পালকে কোচবিহারে, দাসপুরের প্রাক্তন ওসি প্রদীপ রথকে আলিপুরদুয়ারে, ঝাড়গ্রামের এমটিও দেবাশিস দাসকে জলপাইগুড়িতে বদলি করা হয়েছে। আর খড়্গপুর গ্রামীণ থানার প্রাক্তন ওসি রাজশেখর পাইনের কালিম্পঙে এবং এসআই চিরঞ্জিত ঘোষের দার্জিলিংয়ে বদলির নির্দেশ এসেছে। জেলা পুলিশের একাংশ মনে করছে, ভারতী ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই এঁদের দূরের জেলায় বদলি করা হল। পাঁচজনই জামিনে মুক্ত রয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
গত ফেব্রুয়ারিতে সোনা প্রতারণা মামলায় নাম জড়িয়েছিল ভারতী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ তিন পুলিশ আধিকারিক প্রদীপ রথ, চিত্ত পাল এবং দেবাশিস দাসের। তখনই সাসপেন্ড করা হয় তাঁদের। পরে সিআইডি ওই তিন পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করে। কিছুদিন জেল হেফাজতে থাকার পরে তাঁরা জামিন পান এবং পুলিশ লাইনে যোগ দেন। তবে চার্জশিটে তিনজনেরই নাম রয়েছে।
খড়্গপুর গ্রামীণ থানার টাকা লুট ও মারধরের মামলাটি করেছিলেন গরু ব্যবসায়ী ইউনিস খান। তাতে ভারতী ছাড়াও অভিযুক্ত ছিলেন রাজশেখর পাইন এবং চিরঞ্জিত ঘোষ। সিআইডি রাজশেখরকে গ্রেফতার করে। আর গ্রেফতারের আগেই জামিন পান চিরঞ্জিত। সম্প্রতি রাজশেখরও জামিন পেয়েছেন।
সোমবার রাতে আবার ঘাটাল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ভারতীর দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডল-সহ চার জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দাসপুরের সোনা প্রতারণা মামলার এক সাক্ষীকে হুমকি দিয়েছেন ওই চারজন। সুজিতও সোনা প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত। তবে ভারতী ও তাঁর এই দেহরক্ষীর নাগাল পায়নি সিআইডি। তাঁদের ফেরার দেখিয়েই চার্জশিট জমা পড়েছে।