পশ্চিমবঙ্গে দলের সাংগঠনিক বিস্তারে এখনও নেতৃত্ব খুশি নন। ঘটা করে বিস্তারক অভিযান করলেও রাজ্যের প্রায় ৭৭ হাজার বুথের ৪০ শতাংশ বুথে এখনও পৌঁছতেই পারেনি দল। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি থেকেই এই তথ্য বেরিয়ে আসে। তাই এ রাজ্যের কর্মীদের সামনে এ বার নতুন লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রের খবর, সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলে দিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে এ রাজ্যের ৬০ থেকে ৬৫ হাজার বুথের প্রতিটিতে ন্যূনতম পাঁচ জন করে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। সফল হলে ডিসেম্বরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিগেডে বুথ-কর্মী সম্মেলন করবেন।
বিজেপি সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওড়িশায় বৈঠকে গিয়ে সেখানকার দলীয় নেতা-কর্মীদের অমিত বলে এসেছেন, দু’মাস অন্তর তিনি এবং তিন মাস অন্তর প্রধানমন্ত্রী ওই রাজ্যে যাবেন। অমিত দলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের আগামী নিশানা ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। বস্তুত, সেই কারণেই এপ্রিল মাসে পশ্চিমবঙ্গে এসে তিন দিন কাটিয়ে গিয়েছেন তিনি। ওই পর্বে নিম্নবিত্ত এবং নিম্নবর্গের মানুষের বাড়িতে খেয়েছেন, কর্মীদের জনসংযোগ শিখিয়েছেন হাতে-কলমে। সে বারই অমিত এখানকার নেতৃত্বকে বলে গিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরে ফের আসবেন। তখন বিস্তারক অভিযানের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করবেন। সেপ্টেম্বরের দুই-তিন মাসের মধ্যে ফের এ রাজ্যে তাঁর সফর প্রত্যাশা করছেন এখানকার দলীয় নেতৃত্ব।
তৃণমূলের ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন শুরু হয়েছে বুধবার। তার পাল্টা ‘তৃণমূল তোষণ ছাড়ো’— এই স্লোগানে স্বাক্ষর সংগ্রহও ওই দিন থেকেই জেলায় জেলায় শুরু করেছে বিজেপি। আগামী শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক হাজরা মোড়ে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে ওই সই সংগ্রহ হবে। ওই দিনই পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ় এবং সিকিমের বিস্তারক অভিযানের রিপোর্ট নিয়ে কলকাতায় বৈঠক করবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রামলাল এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ।