Biometric Attendance System

বায়োমেট্রিক হাজিরা বাঁকুড়ার প্রাথমিকে 

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রের দাবি, বছরখানেক আগে প্রশাসনিক দফতরগুলিতে বায়োমেট্রিক যন্ত্র বসিয়ে দেখা গিয়েছে হাজিরা নিয়ে অভিযোগ বন্ধ হয়েছে।

Advertisement

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

জেলার প্রশাসনিক দফতরগুলিতে হাজিরার জন্য আগেই বসেছে বায়োমেট্রিক যন্ত্র। এ বার ধাপে-ধাপে বাঁকুড়ার প্রাথমিক স্কুলগুলিতেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাজিরায় চালু হচ্ছে ওই ব্যবস্থা।

Advertisement

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রের দাবি, বছরখানেক আগে প্রশাসনিক দফতরগুলিতে বায়োমেট্রিক যন্ত্র বসিয়ে দেখা গিয়েছে হাজিরা নিয়ে অভিযোগ বন্ধ হয়েছে। সে সূত্রেই স্কুলে-স্কুলে ‘বায়োমেট্রিক’ হাজিরা চালু করার সিদ্ধান্ত। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে সময়মতো স্কুলে আসেন বা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্কুলে থাকেন, তা নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত। রাজ্যের মধ্যে বাঁকুড়াতে প্রথম এ কাজ হচ্ছে।” শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা জেলাগত উদ্যোগ হতে পারে। তবে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করে কাজ করতে পারলে ভালই।’’

বাঁকুড়ার খাতড়ার কংসাবতী শিশু বিদ্যালয়ে ওই পদ্ধতিতে শিক্ষকদের হাজিরা নেওয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাঁকুড়া শহরের পাঁচটি স্কুলে ‘বায়োমেট্রিক’ যন্ত্র বসানো হয়ে যাবে। জেলায় ৩,৫৬৭টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। এক বছরের মধ্যে সব স্কুলে যন্ত্র বসানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

রিঙ্কুদেবী জানান, স্কুলকে প্রতি বছর যে তহবিল দেওয়া হয়, তা থেকেই ‘বায়োমেট্রিক’ যন্ত্র কেনা হবে। তবে যে সব স্কুলে ৫০ জনের কম পড়ুয়া, সেখানে তহবিল কম হওয়ায় যন্ত্র কেনায় সমস্যা হতে পারে। সে ব্যাপারে প্রশাসনের আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে। জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের যেখানে, যেমন সাহায্য দরকার, আমরা তা দিতে প্রস্তুত।”

রিঙ্কুদেবী বলেন, ‘‘আগামী দিনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের হাজিরা নেওয়ার ভাবনাও রয়েছে। তাতে মিড ডে মিলে পড়ুয়ার সংখ্যা এ দিক-ও দিক নিয়ে যে অভিযোগ ওঠে, তা-ও বন্ধ হবে।’’ বামপন্থী প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন ‘এবিপিটিএ’-র জেলা সম্পাদক হীরালাল পালের প্রতিক্রিয়া, “বায়োমেট্রিক যন্ত্র বসলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে নিয়ম মেনে স্কুলে না আসার অভিযোগ কমবে। কিন্তু তাতে স্কুলের মানোন্নয়ন হবে না। সে জন্য আগে পরিকাঠামো উন্নয়নের দরকার ছিল।” ‘পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র বাঁকুড়া জেলা সভাপতি গৌতম গড়াই অবশ্য দাবি করেন, ‘‘এই উদ্যোগ কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর গতিকে ত্বরান্বিত করবে।’’

সহ প্রতিবেদন: রবিশঙ্কর দত্ত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন