Operation Sindoor Debate

পহেলগাঁও কাণ্ডের সন্ত্রাসবাদীরা কোথায়? প্রশ্ন তুলে দিল্লির পথে অভিষেক, সংসদে সিঁদুর-বিতর্কে বাংলায় বক্তৃতা করবেন সায়নী

দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে অভিষেক সমাজমাধ্যমে লেখেন, “যদি পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও ম্যাচ হয়ে থাকে, তবে সেটা নিয়ন্ত্রণরেখায় হওয়া উচিত। আর আমরা চাই, সেই ম্যাচে বিজয়ীর ট্রফি হোক পাক অধিকৃত কাশ্মীর।”

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৫ ১২:০৮
Share:

(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সায়নী ঘোষ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিরা ধরা পড়েনি কেন? এই প্রশ্ন তুলে সিঁদুর-বিতর্কে যোগ দিতে দিল্লি গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার লোকসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনার জন্য ১৬ ঘণ্টার বিশেষ অধিবেশন হওয়ার কথা। সোমবার দিল্লির বিমান ধরার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে অভিষেক জানান, দলের তরফে এই বিতর্কে যোগ দিয়ে বক্তৃতা করবেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। তিনি বাংলাতেই বক্তব্য পেশ করবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

Advertisement

অবশ্য গত ২১ জুলাই ধর্মতলার সমাবেশ থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ভাষা-সন্ত্রাসের’ অভিযোগ তুলে অভিষেক জানিয়েছিলেন, এ বার তৃণমূল সাংসদেরা সংসদে বাংলায় ভাষণ দেবেন। সোমবার বিমানবন্দরে ভাষা নিয়ে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালিদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, যারা বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার করছে, তারা ২০২১ আর ২০২৪ সালে শিক্ষা পেয়েছিল। ২০২৬ সালে শিক্ষা কঠিন হবে।” বিহারের ভোটার তালিকায় সমীক্ষা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ‘বিজেপির তল্পিবাহক’ বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক। বলেন, “বাংলায় হেরেছে বলে বাঙালিদের ভোটাধিকার কাড়ছে।” অনুপ্রবেশ-বিতর্কে তাঁর বক্তব্য, “এর দায় বিএসএফের।” অনুপ্রবেশ রুখতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিএসএফের ডিজি পদত্যাগ করবেন না, সেই প্রশ্নও তোলেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’। এই সূত্রেই অভিষেকের প্রশ্ন, “পহেলগাঁও কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের এখনও ধরা গেল না কেন?”

দিল্লির বিমান ধরার আগে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার পরে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন অভিষেক। সেখানে তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রাখার বিরোধিতা করেন। অভিষেক লেখেন, “কোনও পরিসরেই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা উচিত নয় ভারতের। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের কেবল যুদ্ধক্ষেত্রেই বোঝাপড়া হতে পারে। আর সেই যুদ্ধের পুরস্কার হবে পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর।”

Advertisement

পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক কার্যত পুরোপুরি ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এর প্রভাব ২২ গজেও পড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে একাংশের মত, ক্রিকেটে এই সমস্ত কিছুর প্রভাব থাকা উচিত নয়। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অভিষেকের বক্তব্য, “আমরা শুনতে পাই যে বলা হয়, খেলাকে রাজনীতির বাইরে রাখা হোক। কিন্তু না। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।” নিজের বক্তব্যের সমর্থনে অভিষেক তাঁর পোস্টে লেখেন, “ক্রিকেটের কোনও পিচ এতটাও মহৎ নয়, যেখানে আমাদের শহিদের রক্ত ধুয়ে যেতে পারে।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালানোর অভিযোগও তোলেন তিনি। তার পরেই অভিষেক লেখেন, “যদি পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও ম্যাচ হয়ে থাকে, তবে সেটা নিয়ন্ত্রণরেখায় হওয়া উচিত। আর আমরা চাই, সেই ম্যাচে বিজয়ীর ট্রফি হোক পাক অধিকৃত কাশ্মীর।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement