শহরের রাস্তায় এলইডি লাইটের কারণেই কি বাড়ছে দুর্ঘটনা? —ফাইল চিত্র।
শহর ও রাজ্যের রাস্তায় লাগানো অতিরিক্ত উজ্জ্বল এলইডি লাইট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল রাজ্যের বাসমালিক সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটস। সংগঠনের সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায় রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং পরিবহণসচিব সৌমিত্র মোহনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারের তরফে রাস্তায় এবং যানবাহনে লাগানো এই অতিরিক্ত উজ্জ্বল এলইডি আলো এখন গাড়িচালকদের জন্য বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, রাস্তায় দুই পাশে যে এলইডি লাইট বসানো হয়েছে, তা রাতের বেলা গাড়িচালকদের চোখে তীব্র আলো ফেলে দৃষ্টিশক্তি বিঘ্নিত করছে। এর ফলে অনেক চালক সাময়িক ভাবে দিশাহারা হয়ে পড়ছেন, যা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে দাবি করেছে বাস সংগঠনটি। একই ভাবে, ছোট-বড় অধিকাংশ ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক গাড়িতেও বর্তমানে তীব্র আলোযুক্ত হেডলাইট ব্যবহার করা হচ্ছে, তার ফলেও গাড়ির চালকদের সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাতের বেলায় চালকের চোখে যখন এলইডি লাইট পড়ে, তখন সমস্যা হয়। অনেক সময় চোখ লাল হয়ে যায়, জল আসে। এর ফলে চালকের মনোযোগ নষ্ট হয় এবং দুর্ঘটনা ঘটে।” তিনি আরও বলেন, “এক সময় শহরে গাড়িতে এয়ার হর্ন ব্যবহার বন্ধ করার মতোই এ বারও সরকারকে শক্ত ভাবে পদক্ষেপ করতে হবে।”
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সংস্থার কর্মীরা দ্রুত গতিতে চলাচল করতে গিয়ে বারবার দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এলইডি আলোর কারণেই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে সরকার যদি আলোচনার মাধ্যমে চালকদের মতামত নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করে, তা হলে দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমবে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
বাস সংগঠনের তরফে পরিবহণ দফতরকে অনুরোধ করা হয়েছে, যানবাহনে কোন ধরনের লাইট ব্যবহার করা উচিত, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হোক। পাশাপাশি রাস্তার এলইডি লাইটের তীব্রতা ও অবস্থান নিয়েও পর্যালোচনা করার দাবি তুলেছেন তিনি।