দিল্লিতে দায়িত্ব বাড়ছে, শহরের পথেও অধীর

প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির অসুস্থতা এবং প্রণব মুখোপাধ্যায় সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার পরে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় স্তরে বাঙালি নেতাদের আর প্রতিনিধিত্ব নেই। অধীরবাবুর হাত ধরে দলের জাতীয় স্তরে ফের কিছুটা জায়গা ফিরে পেতে চাইছে বাংলার কংগ্রেস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯ ০২:৫১
Share:

শহরের রাস্তায় মিছিলে অধীর রঞ্জন চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।

কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও এ বার বহরমপুর লোকসভা আসন কংগ্রেসের দখলে রেখেছেন তিনি। পাঁচ বছর আগে গোটা দেশে কংগ্রেস যখন ৪৪ আসনে নেমে গিয়েছে, তখনও সাড়ে তিন লক্ষ ভোটে তিনি জিতেছিলেন। এই লড়াইয়ের ‘স্বীকৃতি’ হিসেবে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে এ বার সংসদে সর্বদল বৈঠকে কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব দিলেন সনিয়া গাঁধী। সংসদে আজ, রবিবার সকালে ওই বৈঠকে থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।

Advertisement

প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির অসুস্থতা এবং প্রণব মুখোপাধ্যায় সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার পরে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় স্তরে বাঙালি নেতাদের আর প্রতিনিধিত্ব নেই। অধীরবাবুর হাত ধরে দলের জাতীয় স্তরে ফের কিছুটা জায়গা ফিরে পেতে চাইছে বাংলার কংগ্রেস। পাঁচ বারের সাংসদ অধীরবাবুকে লোকসভায়কংগ্রেসের সচেতক করা হোক, এমন দাবিও উঠেছে দলের অন্দরে। কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী সনিয়ার নির্দেশে আজ সর্বদলে অধীরবাবুর পাশাপাশিই দলের প্রতিনিধিত্ব করার কথা কেরলের ৭ বারের সাংসদ কোডিকুন্নিল সুরেশের। এ বার নিয়ে পরপর তিন বার সুরেশ জয়ী হয়েছেন মাভেলিক্কারা কেন্দ্র থেকে।

রাজ্যে হাসপাতালে অচলাবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কয়েক দিন আগে চিঠি দিয়েছেন অধীরবাবু। দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতায় এসে শনিবার তিনি পথেও নেমেছিলেন সরকারি হস্তক্ষেপে হাসপাতালে নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে। তিনি জানিয়েছেন, সংসদের বৈঠকের বিষয় আলাদা। তবে সুযোগ পেলে তিনি হাসপাতালের প্রসঙ্গ তুলতে চান। রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে এ দিন পা মিলিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা সন্তোষ পাঠক, প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি শাদাব খানেরা।মিছিল শেষে এনআরএস হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অধীরবাবু।

Advertisement

প্রদেশ কংগ্রেসের প্রচার কমিটির সভাপতি অধীরবাবুর বক্তব্য, এমন কোনও সমস্যা নেই, আলোচনার টেবিলে যার সমাধান হয় না। ভারত-পাকিস্তানেরও তো আলোচনা হয়। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে দাম্ভিকতা দেখিয়ে তিলকে তালকরেছেন। এখন তিনি আলোচনা করতে যাবেন না, আবার চিকিৎসকেরাও মাথা নত করে তাঁর কাছে আসবেন না! এর মাঝে পড়ে সাধারণ মানুষ বিপন্ন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন