BDO Transfer in West Bengal

মহকুমা এবং ব্লক স্তরেও আমূল রদবদল! এসআইআর ঘোষণার আগেই ১৭ এসডিও এবং ১৫১ বিডিও-কে বদলি করল নবান্ন

কেবল প্রশাসনের শীর্ষ স্তরেই নয়, রাজ্যের মহকুমা এবং ব্লক স্তরেও আমূল প্রশাসনিক রদবদল করা হল। শুক্রবার ১৫১ জন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও), ১৭ জন মহকুমাশাসক (এসডিও)-কে বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:২৬
Share:

মহকুমা এবং ব্লক স্তরের প্রশাসনেও আমূল রদবদল ঘটাল নবান্ন। — ফাইল চিত্র।

কেবল প্রশাসনের শীর্ষ স্তরেই নয়, রাজ্যের মহকুমা এবং ব্লক স্তরেও আমূল প্রশাসনিক রদবদল করা হল। শুক্রবার ১৫১ জন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও), ১৭ জন মহকুমাশাসক (এসডিও)-কে বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। তা ছাড়াও একই দিনে রাজ্য এবং জেলা প্রশাসনে থাকা ২৬৩ জন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিককে বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সোমবার এই রদবদলের খবর প্রকাশ্যে এসেছে।

Advertisement

অন্য দিকে, সোমবার প্রশাসনিক সংস্কার ও কর্মিবিনিয়োগ দফতরের তরফে মোট চারটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৬৪ জন আমলার বদলির কথা জানানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জৈনকে পাঠানো হয়েছে বীরভূম জেলার জেলাশাসকের দায়িত্বে। বদলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তকে আনা হয়েছে কলকাতা পুরসভার কমিশনারের দায়িত্বে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মীনাকে। হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর শশাঙ্ক শেট্টিকে সরানো হয়েছে। আর হিডকোর নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্ব পেয়েছেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজশ্রী মিত্র। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক হয়েছেন নিতিন সিঙ্ঘানিয়া, যিনি মালদহের জেলাশাসক ছিলেন। দার্জিলিং জেলার জেলাশাসক প্রীতি গয়ালকে আনা হয়েছে মালদহের জেলাশাসকের দায়িত্বে।

নবান্ন সূত্রে খবর, এই বদলি নির্ধারিতই ছিল, শুধুমাত্র উৎসবের কারণে তা কার্যকর করা হয়নি। কিন্তু শারদোৎসব এবং দীপাবলির মতো বড় উৎসব কেটে যেতেই রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক পদে রদবদল ঘটানো হল। যদিও কালীপুজো ও ভাইফোঁটা উপলক্ষে প্রশাসনে ১৯ অক্টোবর থেকে যে ছুটির পর্ব শুরু হয়েছে, তা এখনও শেষ হয়নি। সোম এবং মঙ্গলবার ছটপুজোর জন্য ছুটি দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু এমন ছুটির আবহেই শীর্ষ আধিকারিকদের নতুন দায়িত্বে পাঠানোর ফরমান জারি করা হয়েছে।

Advertisement

এই বদলি প্রসঙ্গে প্রশাসনের একাংশের ব্যাখ্যা, সোমবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু হয়ে যাচ্ছে। ফলে তার পর থেকে রাজ্য প্রশাসনে যে কোনও ধরনের বদলিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতামত থাকবে। বা কোনও বদলি করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনেরও ভূমিকা থাকবে। তাই প্রশাসনের ওই অংশের মত, এসআইআর শুরু হওয়ার আগেই রাজ্য প্রশাসনে এক বড়সড় ধাক্কা দিল রাজ্য সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement