সুইটি বিবির বাড়িতে রাজ্য় সরকারের প্রতিনিধি হয়ে গেলে সাংসদ সামিরুল ইসলাম। নিজস্ব ছবি
সোনালি বিবি দেশে ফিরে আসার পর এ বার বাংলাদেশ থেকে বাকিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিনের আইনি লড়াইয়ের প্রথম পর্ব সফল হয়েছে। কিন্তু সুইটি বিবি এবং তাঁর দুই নাবালক পুত্র এখনও বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন। যা নজরে রয়েছে রাজ্য সরকারের। তাঁদের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা পরিবার। সেই পর্যায়ে শনিবার মুরারইয়ে সুইটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম।
তিনি পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করেছেন যে ভাবে সোনালী ও তাঁর ছেলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, সেভাবেই সুইটি ও তাঁর নাবালক পুত্রদেরও ভারতে ফিরিয়ে আনা হবে। তার জন্য আইনি সহায়তা দেবে রাজ্য সরকার। আইনজীবী সঞ্জয় বসুর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টে এবং কুণাল ঘোষ ও রঘুনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কলকাতা হাই কোর্টে লড়াই করা হবে।
সামিরুল বলেন, “বাংলার মানুষ জানে—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই জুলুম চিরকাল চলবে না। তাঁদের দৃঢ়তা, মানবিকতা এবং লড়াই করার মানসিকতাই আমাদের শক্তির উৎস। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ—যেদিন শেষ জন ভারতীয় নাগরিকও দেশে ফিরবেন, সেদিনই আমাদের এই সংগ্রাম সত্যিকার অর্থে সফল হবে।“
সোনালিকে ভারতে ফেরানো হলেও এখনও বাংলাদেশেই আটকে রয়েছেন সুইটি বিবি ও তাঁর দুই নাবালক পুত্র-সহ আরও তিনজন। পরিবারগুলোর দাবি, তারা সকলেই ভারতীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও ভুল নথিপত্র ও প্রশাসনিক জটিলতার জেরে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের ওপারে নাজেহাল অবস্থায় রয়েছেন। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাকিদের দ্রুত দেশে ফেরানো অত্যন্ত জরুরি বলে দাবি করেছেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁদের কথায়—একজন ফিরেছে, বাকিরাও ফিরলে তবেই পরিবারের দুঃখ ঘুচবে। গত জুন মাসে দিল্লি থেকে সোনালি-সহ বাকিদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে পুলিশ। অভিযোগ, বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখানো সত্ত্বেও বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছিল তাদের।