AITC

TMC vs Congress: তোমরা এতদিন কোথায় ছিলে?গোয়া নিয়ে তৃণমূল মুখপত্রে তুলোধনা এ বার কংগ্রেসকে

বুধবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ফেলেরো-সহ গোয়া কংগ্রেসের আরও চারজন নেতা তৃণমূলে যোগ দেবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:২১
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে এমনই সব হোডিং লাগানো হয়েছে গোয়া জুড়ে। নিজস্ব চিত্র।

দিন কয়েক আগেই কংগ্রেসকে পচা ডোবার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল তৃণমূলের মুখপত্রে। বুধবার সম্পাদকীয় স্তম্ভে ফের একবার কংগ্রেসকে আক্রমণ শানানো হল। এ বার গোয়া কংগ্রেসের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেই আক্রমণ শানানো হয়েছে। কী পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের নেতা তথা গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, তারও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে তৃণমূল যে কংগ্রেসের অন্দরের ভাঙন আরও তরান্বিত করবে, তারও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে সম্পাদকীয় স্তম্ভে। লেখা হয়েছে, ‘রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়ক লুইজিনহো ফেলেরো ইস্তফা দিয়েছেন। কংগ্রেস ছাড়ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে বৃহত্তর কংগ্রেস পরিবার বলছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন। আগামী কয়েকদিনে আরও কিছু ঘটবে।’ আরও লেখা হয়েছে, ‘গোয়ায় এখন তৃণমূল কংগ্রেসের পদধ্বনি স্পষ্ট।’ প্রসঙ্গত, বুধবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ফেলেরো এবং গোয়া কংগ্রেসের আরও চারজন নেতা তৃণমূলে যোগ দেবেন। ইতিমধ্যে গোয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত হোর্ডিং দিয়েও প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল।

সম্পাদকীয় স্তম্ভে লেখা হয়েছে, ‘কংগ্রেস নেতৃত্ব এসে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শুরু করেছে। আমাদের প্রশ্ন, কংগ্রেস, এতদিন তোমরা কোথায় ছিলে? কেন বিজেপি-কে এতদিন নিশ্চিন্তে থাকতে দিয়েছ? তোমরা চিরদিন লড়বে বলে জায়গা আটকে রাখবে আর তারপর ডুবিয়ে দিয়ে বিজেপি-কে সুবিধা করে দেবে। এটা আর হবে না।’ দেশে বিজেপি-র বাড়বাড়ন্তের জন্য একক ভাবে দায়ী করা হয়েছে কংগ্রেসকেই। এআইসিসি নেতৃত্বকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে আরও লেখা হয়েছে, ‘তৃণমূলকে কেন আক্রমণ? গোটা দেশে তোমাদের ব্যর্থতার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী? রাজ্যে রাজ্য তোমরা ব্যর্থ। তৃণমূল দায়ী?’

Advertisement

প্রসঙ্গত, তৃণমূল মুখপত্রে কংগ্রেসকে পচা ডোবার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল। পাশাপাশি ভবানীপুরের ভোট প্রচারে নেমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেসকে। ভবানীপুরে প্রার্থী না দিয়েও তৃণমূলের এমন আক্রমণের জবাব দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনার সঙ্গে আরএসএস-এর বহু পুরনো সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক আজও আছে, আরএসএস-এর সঙ্গে আপনি মিলে মিশে চলেন। বিজেপি, আরএসএস-কে ধ্বংসের কথা আপনি বলছেন না। কী করে বলবেন? আরএসএস-এর সঙ্গে যে আপনার সুসম্পর্ক রয়েছে। আরএসএস আপনাকে বলছে দুর্গা মাতা। আমার কথা যদি ভুল হয় চ্যালেঞ্জ থাকল- রাজনীতি করা ছেড়ে দেব।’’ তারই পাল্টা বুধবার দলীয় মুখপত্রে এমন চাঁচাঁছোলা ভাষায় কংগ্রেসকে আবারও আক্রমণ করা হয়েছে বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন