Digha Jagannath Temple

মন্দিরের পাশে লেখা ‘জগন্নাথ ধাম’ উধাও! কৌতূহল দিঘায়, ছবি দিলেন শুভেন্দু, ব্যাখ্যা দিলেন অখিল এবং রাধারমণ

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে কেন ‘ধাম’ বলা হচ্ছে, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। মন্দিরের ডান দিকে জাতীয় সড়কের উপর ইংরেজি হরফে ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা নীল রঙের সেই বড় কাঠামো নজরও কেড়েছিল অনেকের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৫ ১৫:৩৪
Share:

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রবেশদ্বারের ডান পাশে ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা নীল রঙের সেই কাঠামো। ছবি: সংগৃহীত। (ছবিটি মন্দির উদ্বোধনের দিনে তোলা)

দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিনও তা ছিল। মন্দিরের ঠিক পাশে ডান দিতে জাতীয় সড়কের উপর ইংরেজি হরফে ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা নীল রঙের সেই বড় কাঠামো নজরও কেড়েছিল অনেকের। সেই কাঠামো এখন উধাও! যা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে দিঘায়। প্রশ্ন উঠছে, যে জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে এত উন্মাদনা, সেই মন্দিরের পাশ থেকে কেন এ রকম ‘সুদৃশ্য’ কাঠামো সরিয়ে নেওয়া হল?

Advertisement

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে কেন ‘ধাম’ বলা হচ্ছে, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। অনেকেরই মতে, নানা অভিধান অনুসারে, ধামের অর্থ হল তীর্থস্থান বা আবাস। আবাস সাধারণ মানুষেরও হতে পারে। যেমন, মাতৃধাম। আবার দেবতার নামেও হতে পারে। যেমন, গোলোকধাম। কিন্তু তীর্থস্থান হতে গেলে দেবতা বা মহাপুরুষের লীলা বা অধিষ্ঠানক্ষেত্র হতে হবে। ধাম কথার অর্থ তেজ, জ্যোতিও হয়। জয়তি কনকঃ ধামা কৃষ্ণ চৈতন্য নামে। অনেকের ব্যাখ্যা, তেজোদ্দীপ্ত কেউ জন্মগ্রহণ করলে কিংবা প্রতিষ্ঠা করলে সেটা ধাম হতে পারে। নবদ্বীপে চৈতন্যদেবের জন্ম। তাই সেটি ধাম। ফলে এই সংজ্ঞায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ধাম বলা যায় না।

শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন, সেখান থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট।

আবার পাল্টা অভিমতও রয়েছে। কারও কারও মত, ধামন্ শব্দ থেকে ধাম শব্দটি এসেছে। তীর্থক্ষেত্র ছাড়াও ধাম গড়ে উঠতে পারে। যদি দিঘায় বিশেষ কিছু কর্ম হয়ে থাকে এবং অনেক মানুষের আগমন ঘটে, তা হলে মহাপ্রভুর মন্দিরকে ধাম বলতে আপত্তি নেই।

Advertisement

তবে বিতর্ক থেকেই গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা কাঠামো মন্দিরের পাশ থেকে সরতেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। তার ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।

যদিও স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বিতর্কের কারণে ওই কাঠামো সরানো হয়নি। সেটি অস্থায়ী কাঠামো ছিল। উদ্বোধনের পর দিনই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রামনগরের (দিঘায় রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত) বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘‘মন্দির উদ্বোধনের সময়েই ওই অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। উদ্বোধনের পর দিনই তা সরিয়ে ফেলা হয়। এর পিছনে আর অন্য কোনও কারণ নেই। পাশে চৈতন্যদ্বারের নির্মাণকাজ চলছে। তা শেষ হলে আবার ওই রকম কাঠামো বসানো হবে।’’

একই কথা বলেছেন দিঘার মন্দিরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি রাধারমণ দাসও। তিনি বলেন, ‘‘ওটা ফুটপাথে ছিল। এখন নয়, অনুষ্ঠানের পর দিনই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement