সব জল্পনার অবসান! বাংলা থেকে রাজ্যসভার একটি আসনে প্রার্থী হিসাবে সীতারাম ইয়েচুরির নামই চূড়ান্ত করল আলিমুদ্দিন। তবে প্রার্থী হিসাবে শেষ পর্যন্ত ইয়েচুরি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করছে পলিটব্যুরোর উপরে।
সিপিএম সূত্রের খবর, দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তরফে ইয়েচুরির নাম সংবলিত প্রস্তাব সোমবার পৌঁছেছে দিল্লিতে। রাজ্যসভার ভোট পিছিয়ে গেলেও আগেকার ঘোষণা অনুযায়ী, মনোনয়ন জমার পর্ব শুরু হয়েছিল এ দিন। দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক যে হেতু ১-২ জুন ডাকা আছে, তাই রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী তার জন্য অপেক্ষা না করে রাজ্যসভার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের যুক্তি, ইয়েচুরি প্রার্থী হলে কংগ্রেস কাউকে দাঁড় করাবে না বলে জানিয়ে রেখেছে। সে ক্ষেত্রে ইয়েচুরির মাধ্যমেই সিপিএম রাজ্যসভায় এক জন সাংসদ পাঠাতে পারবে। কিন্তু কংগ্রেসের ছোঁয়া লেগে যাচ্ছে বলে সিপিএম যদি এ বার প্রার্থী না দেয়, তা হলে ২০১৮ ও ২০২০ সালে যথাক্রমে তপন সেন ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ ফুরোলে তখনও কাউকে পাঠানোর সুযোগ থাকবে না। অর্থাৎ পরপর তিন দফায় রাজ্যসভায় প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে না সিপিএম। তাই ইয়েচুরির জন্য আসা সুযোগ এ বার সদ্ব্যবহার করা উচিত।
রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী তাদের প্রস্তাবে জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যাকে বাংলা থেকে রাজ্যসভার ষষ্ঠ আসনে কংগ্রেস প্রার্থী করলে তৃণমূল নেত্রী তাঁকে সমর্থন করার কথা বলে রেখেছেন। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে সেই সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না। তাই ইয়েচুরিকেই প্রার্থী করা হোক।
আগরতলা থেকে দিল্লি ফিরে আলিমুদ্দিনের প্রস্তাব জেনেছেন ইয়েচুরি। পলিটব্যুরোর ঘরোয়া বৈঠকে প্রথমে তা নিয়ে কথা হবে। পলিটব্যুরোর এক সদস্যের মন্তব্য, ‘‘ইয়েচুরিকে সাংসদ করতে কংগ্রেসের সমর্থন লাগবে। তার মানে সেই কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা হচ্ছে, এই যুক্তিতে বিরোধিতা করবেন পলিটব্যুরোর অধিকাংশ!’’ অর্থাৎ লড়াই এখনও বাকি!