এক দশকে দেশের স্বীকৃত জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সম্পদ বৃদ্ধির শতাংশ হিসাবে সব চেয়ে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। মূলত বাংলাকেন্দ্রিক দল হলেও তাদের সম্পদ বৃদ্ধির হার বিজেপি বা কংগ্রেসের মতো প্রকৃত অর্থের জাতীয় দলগুলির চেয়ে বেশি। নির্বাচন কমিশন, আয়কর দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট নানা বিভাগে রাজনৈতিক দলগুলির দাখিল করা হিসাবের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম’ (এডিআর)।
কলকাতায় আর একটি সংস্থা ‘ইলেকশন ওয়াচে’র পশ্চিমবঙ্গ শাখার সহযোগিতায় পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে নিয়ে সোমবার আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছিল এডিআর। গোলপার্কে ওই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্য প্রমুখ। পরে প্রেস ক্লাবে ওই সংস্থার তরফে রিপোর্ট প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২০০৪-০৫ থেকে ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে বিজেপি-র ঘোষিত সম্পত্তি বেড়েছে ৬২৭.১৫%। সিপিএমের বেড়েছে ৩৮৩.৪৭%। ওই সময়ের মধ্যে তৃণমূলের সম্পত্তি বেড়েছে ১৭৮৯৬ %!
তবে শতাংশের হারে বাড়লেও মোট ঘোষিত সম্পত্তির পরিমাণে কিন্তু বিজেপি, কংগ্রেস বা সিপিএমের চেয়েও তৃণমূল অনেক পিছিয়ে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ সালের হিসাবে বিজেপি-র সম্পত্তি যেখানে ৮৯৩.৮৮ কোটি টাকা, কংগ্রেসের ৭৫৮.৭৯ কোটি টাকা এবং সিপিএমের ৪৩৭.৭৮ কোটি টাকা, সেখানে তৃণমূলের সম্পদের পরিমাণ ৪৪.৯৯ কোটি টাকা। স্থায়ী সম্পদ, ঋণ ও অগ্রিম অঙ্ক, স্থায়ী সঞ্চয়— এই রকম নানা শ্রেণিতে সম্পত্তি ভাগ করে দেখাতে পারে দলগুলি। কিন্তু ৭টি জাতীয় দলই তাদের বেশির ভাগ সম্পত্তি দেখিয়েছে ‘অন্যান্য সম্পদ’ খাতে। অর্থাৎ যার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।
সিএজি মনোনীত কোনও অডিটরকে দিয়ে রাজনৈতিক দলের হিসাব পরীক্ষার সুপারিশ করেছিল আইন কমিশন। এডিআর-এর প্রধান অনিল বর্মাও ওই সুপারিশ কার্যকর করে রাজনৈতিক দলগুলির আয়ব্যয়ের হিসাবের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি তুলেছেন।