বাঁ দিক থেকে, নিত্যানন্দ ও দিলীপ। নিজস্ব চিত্র।
শিশু বিক্রি চক্রে জড়িত অভিযুক্তদের মুখ ঢেকে আদালতে আনায় সিআইডি আধিকারিকদের ঘেরাও করে ক্ষোভে ফেটে পড়ল জনতা। বুধবার বিকেলে বসিরহাট আদালত চত্বরে এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায়। কেন শিশু চুরির মতো ভয়ঙ্কর অপরাধের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ধৃত দুই চিকিৎসক নিত্যানন্দ বিশ্বাস এবং দিলীপকুমার ঘোষের মুখের ঢাকনা খুলে দেওয়ার দাবিতে শুরু হয় চিৎকার-চেঁচামেচি।
জনতার মধ্যে থেকে কটূ মন্তব্যও উড়ে আসে। দু’জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে কলকাতার দিকে গাড়িতে তোলার সময়ে ভিড়ের মধ্যে থেকে একজন সপাটে চড় কষিয়ে দেয় এক অভিযুক্তের গালে। এক যুবক চেঁচিয়ে বলেন, ‘‘কই আগে যে ১৬ জনকে তোলা হয়েছিল আদালতে, তাদের তো মুখ ঢাকা হয়নি! এই দুই গুণধরের মুখ ঢাকবে কেন সিআইডি।’’
এ সবের মাঝেই দুই চিকিৎসককে বসিরহাটের এসিজেএমের আদালতের বিচারক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় ৯ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
সিআইডি অবশ্য দু’জনকে কোর্ট লকআপ থেকে বের করে মুখ ঢাকা অবস্থায় এজলাসে নিয়ে যায়। বিচারকের সামনে দু’জনের মুখের ঢাকনা সরিয়ে দেওয়া হয়। এজলাস থেকে নামানোর পরে কোর্ট লকআপে নিয়ে যাওয়ার সময়েও মুখ ঢাকা থাকায় খেপে যায় জনতা।
এ দিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বিধাননগরের বাসিন্দা চিকিৎসক দিলীপকুমার ঘোষ নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। একই দাবি সুকান্ত সরণীর বাসিন্দা চিকিৎসক নিত্যানন্দ বিশ্বাসের। সিআইডি সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, দু’জনের বিরুদ্ধেই শিশু চুরি থেকে শুরু করে একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আনা বাচ্চাদের মোহনানন্দ ব্রহ্মচারী শিশু সেবা পীঠস্থানে রাখা হতো। ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নিত্যানন্দ বিশ্বাস।