Bite Incident

কামড়কাণ্ডে মানবাধিকার কমিশনের দফতরে সেই অরুণিমা, পাঁচ মাসেও বিচার পাইনি, দাবি তাঁর

অরুণিমা জানান, কমিশনের তরফেই তাঁকে আসতে বলা হয়েছিল। শুক্রবার কমিশনের দফতরে যান তিনি। কিন্তু তাঁকে পরে আসতে বলা হয়। তাঁর প্রশ্ন, “আমায় ডেকে এনে হেনস্থা করা হল কেন?”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৪৫
Share:

কামড়কাণ্ডে মানবাধিকার কমিশনের দফতরে অরুণিমা। সে দিনের ঘটনার ছবি (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র।

কামড়কাণ্ডের পর প্রায় পাঁচ মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু সেই ঘটনায় এখনও বিচার পাননি বলে দাবি করলেন প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল। শুক্রবার রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে এসেছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কমিশনের তরফেই তাঁকে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার এই নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়নি। অরুণিমাকে পরে আবার আসতে বলা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, “আমায় ডেকে এনে হেনস্থা করা হল কেন?”

Advertisement

নভেম্বর মাসের ওই ঘটনায় কোনও বিচার পাননি বলে দাবি করেন অরুণিমা। তাঁর কথায়, “আমায় জানানো হয়েছে ওই পুলিশকর্মীকে ১৫ দিনের জন্য সেন্সর করা হয়েছে। তাঁকে নাকি একটি প্রশিক্ষণ এবং কাউন্সেলিংয়ের জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।” তার পরই অরুণিমার প্রশ্ন, এমন অযোগ্য পুলিশকর্মীকে দিয়ে কেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানো হচ্ছে? ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছেন তিনি।

Advertisement

শুক্রবার মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে এসেছিলেন অরুণিমা। তিনি জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে। তার পরই রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও তাঁকে ডেকে পাঠায় বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা তাঁর কাছে স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন অরুণিমা।

২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ অরুণিমা অন্যদের সঙ্গে কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভে নেমেছিলেন। ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের সামনে বিক্ষোভ চলাকালীন অন্যদের সঙ্গে তাঁকেও পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। অভিযোগ, তখন এক মহিলা পুলিশকর্মী অরুণিমাকে কামড়ে দেন। ঘটনার দু’দিন পরে সরকারি হাসপাতাল অরুণিমার হাতে মানুষের কামড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে পুলিশকর্মী ইভা থাপার বিরুদ্ধে। সাগর দত্ত হাসপাতালের পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালের হাতে ‘হিউম্যান বাইট’ বা মানুষের কামড়ের আঘাত প্রমাণিত হয়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে এই মর্মে শংসাপত্র দেন যে, মানুষের কামড়ের ফলেই ওই কর্মপ্রার্থীর হাতে আঘাত লেগেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement