ফাইল চিত্র।
রাজ্য বাজেটে সেরকম কিছুই পায়নি শিলিগুড়ি পুরসভা। এই অভিযোগ তুলে এ বার কলকাতার ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসার হুমকি দিলেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। বুধবার তিনি জানান, শীঘ্রই এই বিষয়ে দলের সঙ্গে বৈঠক করে দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। যদিও পুরসভায় বিরোধী তৃণমূলের দাবি, যে টাকা রয়েছে তাই আগে খরচা করুন মেয়র।
সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদ জানিয়ে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অশোকবাবু বলেন, ‘‘কেন্দ্র সরকার রাজ্যে নাক গলালে যেমন প্রতিবাদ করব, তেমনি বঞ্চনার জেরে আমাদেরও পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেওয়ার পরেও টাকা তো মিলছেই না, উল্টে দুর্ব্যবহার এবং হেনস্থা হতে হচ্ছে।’’ এর আগেও কখনও নগরোন্নয়ন দফতরের সামনে বিক্ষোভ কখনও কলকাতায় মিছিল করার মতো নানা হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। যদিও কোনওটাই করা হয়নি। সিপিএম সূত্রে দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের জন্য বাজেট পর্যন্ত আটকে ছিল ওই কর্মসূচি। বামেদের দাবি, অনুমতি না পেলেও কর্মসূচি হবে। অশোকবাবু বলেন, ‘‘কেন্দ্র যদি টাকা না দেয় রাজ্য চলতে পারবে? পুরসভাও রাজ্যের অনুদান ছাড়া অচল।’’
এর আগে অশোকবাবুরা দাবি করেছিলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্যের অনুদান মিলিয়ে প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে পুরসভার। এই বাজেটে তার কিছুটা মিলতে পারে বলে আশায় ছিল পুর কর্তৃপক্ষ। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের তহবিল মিলিয়ে মাত্র ১৮ কোটি টাকা মিলেছিল বলে দাবি পুরসভার। বামেদের অভিযোগ, এ বার নগরোন্নায়ন দফতরের প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার বাজেটে শিলিগুড়ি শহরের জন্য কোনও প্রকল্প রাখা হয়নি। মিরিক পুরসভা যে অনুদান পাচ্ছে তার সিকিভাগও শিলিগুড়ি পায়নি বলে অভিযোগ মেয়রের। রাজ্য বাজেটে অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের ভাতা বাড়ানো, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মাইনে বাড়ানো, গ্রুপ ডি থেকে গ্রুপ সি-তে পদোন্নাতির ক্ষেত্রে যে ঘোষণাগুলো হয়েছে সেগুলো পুরকর্মীদের ক্ষেত্রেও চালু করার দাবি জানানো হয়েছে।
যদিও পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘অন্য পুরসভাগু টাকা পাচ্ছে কারণ সেগুলোর দিশা রয়েছে। অশোকবাবুদের কিছুই নেই।’’