তদন্তে হাত চাইছে না কোর্ট

সিবিআইয়ের এফআইআর থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। হাইকোর্ট মঙ্গলবার জানিয়ে দিল, প্রাথমিক অবস্থায় নারদ-কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে চায় না তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:৪৫
Share:

সিবিআইয়ের এফআইআর থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। হাইকোর্ট মঙ্গলবার জানিয়ে দিল, প্রাথমিক অবস্থায় নারদ-কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে চায় না তারা।

Advertisement

নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজে আরামবাগের সাংসদ অপরূপাকেও টাকা নিতে দেখা গিয়েছে বলে জানাচ্ছে সিবিআই। তার ভিত্তিতেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে তারা। তা খারিজের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন ওই সাংসদ। এ দিন তার শুনানি ছিল বিচারপতিজয়মাল্য বাগচীর আদালতে। ‘‘তদন্তের এখন প্রাথমিক পর্যায়। তদন্ত চলতে দেওয়া হোক,’’ অপরূপার আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন বিচারপতি বাগচী।

ওই সাংসদের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা এ দিন তাঁর সওয়ালে দাবি করেন, যে-সময় (২০১৪ সাল) নারদ নিউজের কর্ণধার ম্যাথু স্যামুয়েল ওই স্টিং অপারেশন করেন, তখন তাঁর মক্কেল সরকারি পদে ছিলেন না। তাই সিবিআই দুর্নীতি দমন আইনে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে পারে না।

Advertisement

সওয়ালের দ্বিতীয় পর্যায়ে ওই আইনজীবী জানান, স্টিং অপারেশন করা হয়েছিল আইফোনে। সেই ফোনের ফুটেজ প্রথমে একটি ল্যাপটপে, সেখান থেকে পেনড্রাইভে তুলে নেওয়া হয়। ভিডিও ফুটেজের ফরেন্সিক পরীক্ষার সময় আইফোন ও ল্যাপটপ থেকে কিছু মেলেনি। পেনড্রাইভের ফুটেজ তথ্যপ্রমাণ হিসেবে গ্রাহ্য হয় না।

বিচারপতি বাগচী তখন মন্তব্য করেন, ‘‘আইফোন, ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ এ-সবই তো এক জনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। অন্য কেউ তো নিয়ন্ত্রণ করেননি।’’ অপরূপার আইনজীবী যুক্তি দেন, এখন ছবি তোলা হয় ‘ডিজিটাল’ ব্যবস্থায়। এই ব্যবস্থায় যে-যন্ত্রে প্রাথমিক ফুটেজ তোলা হয়, সেই যন্ত্রের ফুটেজ পরীক্ষা না-হলে তা তথ্যপ্রমাণ হিসেবে গ্রাহ্য হয় না। এ ক্ষেত্রে সেই যন্ত্রে ফুটেজ মেলেনি।

সাংসদের আইনজীবী আরও জানান, সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই-কে স্বাধীন ভাবে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু স্বাধীন ভাবে তদন্ত শুরু করেনি ওই তদন্তকারী সংস্থা। তারা অভিযুক্তদের নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকেনি। সরাসরি এফআইআর দায়ের করেছে। অর্থাৎ সিবিআই এই তদন্তে নিজেদেরই নির্দেশিকা মানছে না।

বিচারপতি বাগচী তখন অপরূপার আইনজীবীর কাছে জানতে চান, নারদ-কাণ্ড নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় ওই সাংসদ হলফনামা পেশ করে কী জানিয়েছিলেন। আইনজীবী জানান, তা তিনি তাঁর মক্কেলের কাছ থেকে জেনে আদালতে জানাবেন। শুক্রবার পর্যন্ত শুনানি মুলতুবি রাখা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন