SSC Recruitment Case

নিয়োগ দুর্নীতি: তলব করেছিল ইডি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দিলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের পিসি মায়া

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত সোমবার জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। ওই দিনই ইডি-র আর একটি দল হানা দেয় বিধায়কের পিসি মায়া সাহার বাড়িতে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৫ ১৩:২৪
Share:

তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি মায়া সাহা। বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে ঢোকার আগে। নিজস্ব চিত্র।

ইডির তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে পৌঁছোলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি তথা কাউন্সিলর মায়া সাহা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত সোমবার জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। ওই দিনই ইডি-র আর একটি দল হানা দেয় বিধায়কের পিসি মায়ার বাড়িতে। তার পরই তাঁকে নিজেদের দফতরে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। সেই তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন বিধায়কের পিসি।

Advertisement

ইডি দফতরে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মায়া বলেন, ‘‘দুনীর্তির টাকা আমার অ্যাকাউন্টে নেই। জোরগলায় বলছি, কোনও দুর্নীতি করিনি আমি।’’

প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে বীরভূমের সাঁইথিয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মায়ার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডি। জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর পিসির বেআইনি আর্থিক লেনদেন আছে, এমনই একটি অভিযোগের তদন্তে মায়ার বাড়িতে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। সূত্রের খবর, মায়া এবং তাঁর স্বামীর সম্পত্তি এবং আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চান তদন্তকারীরা। প্রয়োজনীয় বেশ কিছু নথিও সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকেরা। তার পর মায়াকে বৃহস্পতিবার বিধাননগরে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

Advertisement

বাড়িতে ইডি হানার পরই জীবনকৃষ্ণের বাবা বিশ্বনাথ সাহা অভিযোগ তোলেন, জীবনকৃষ্ণ এবং তাঁর পিসি মায়ার মধ্যে বেআইনি আর্থিক লেনদেন রয়েছে। যদিও সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মায়া। একই সঙ্গে তিনি জানান, ইডিকে তদন্তে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করবেন। সন্ধ্যা ৭টার পর মায়া সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান।

প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল থেকে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা দেয় ইডি। মুর্শিদাবাদের কান্দির আন্দি গ্রামে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বাড়িতেও হানা দেন তদন্তকারীরা। ওই অভিযানেই গ্রেফতার হন জীবনকৃষ্ণ। অভিযান চলে রঘুনাথগঞ্জে বিধায়কের শ্বশুরবাড়ি এবং পিসির বাড়িতেও। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। অভিযোগ, তল্লাশির সময় প্রমাণ লোপাটের জন্য জীবনকৃষ্ণ নিজের দু’টি মোবাইল ফোন পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। দীর্ঘ তল্লাশির পর পুকুরের জল ছেঁচে তা উদ্ধার করা হয়। ১৩ মাস পর তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান। সম্প্রতি নিয়োগ মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement