প্রতীকী ছবি
নতুন ক্যানসার রোগীদের অধিকাংশ মুখ ও গলার ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। পর্যাপ্ত পরিকাঠামো থাকলেও রোগ নির্ণয় দেরিতে হওয়ার জেরে অনেক সময়েই মারাত্মক বিপদ ঘটে যাচ্ছে। সচেতনতার প্রসারই বদলাতে পারে এই ছবি। তাই বিশ্ব মুখ ও গলার ক্যানসার সচেতনতা দিবসে রাজ্যে তৈরি হল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হেড অ্যান্ড নেক সোসাইটি’।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ রাজ্যে প্রতি বছর প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ নতুন ভাবে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। যার এক তৃতীয়াংশ মুখ ও গলার ক্যানসারে ভুগছেন। পুরুষেরা সবচেয়ে বেশি এই ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। মহিলারা যে সব ক্যানসারে ভুগছেন, সেই তালিকায় তৃতীয় স্থানেই রয়েছে মুখ ও গলার ক্যানসার। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তামাক নিয়ে সচেতনতার অভাবের জেরেই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এমনকি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেও তামাক সেবনের প্রবণতা তৈরি হচ্ছে, যা নিয়ে আরও উদ্বিগ্ন চিকিৎসকদের একাংশ।
তামাক সেবন ও তার প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারের উদ্দেশ্যেই এই সংগঠন বলে জানান ক্যানসার শল্য চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায়। এই সংগঠনের সদস্য গৌতমবাবু জানান, তরুণ প্রজন্মের সামনে তামাক সেবনের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরাই প্রধান কাজ। স্কুল পড়ুয়ারা তামাকে আসক্ত হলে পরবর্তী জীবনে এই রোগের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। কিশোর বয়স থেকে সতর্ক হওয়া জরুরি। তাঁর কথায়, ‘‘সোসাইটির তরফে শহরের বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। স্কুল চত্বরে নজরদারির পাশাপাশি কী ভাবে কর্মশালা ও অন্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো যায়, সে নিয়েও রূপরেখা তৈরি হচ্ছে।’’
এ রাজ্যে মুখ ও গলার ক্যানসার চিকিৎসার পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় রোগ নির্ণয় দেরিতে হয়। তাই জটিলতা বাড়ে। সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসার মান উন্নয়নের জন্য চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতার আদানপ্রদানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই সংগঠন,— জানান সংগঠনের আরও এক সদস্য চিকিৎসক সৌরভ দত্ত।