Crime

কুড়ুলের কোপে ‘খুন’ প্রৌঢ়, ধৃত ভাই-সহ তিন

রবিবার রাতে ঘটনার পরে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতাল, পরে বর্ধমানে নিয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেমারি শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি

পারিবারিক বিবাদের জেরে এক প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগ উঠল মেমারির কুচুট পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে আব্দুল ওহাব মণ্ডল (৫৪) নামে ওই ব্যক্তি মাথায় কুড়ুলের আঘাতে খুন হন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন দুই মেয়ে। খুনের অভিযোগে নিহতের ছোট ভাই আব্দুল রফিক মণ্ডল, ভাইয়ের স্ত্রী বদরুন্নেসা মণ্ডল ও ভাইপো আসিফুল মণ্ডলকে সোমবার দুপুরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘রবিবার রাতে পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই ব্যক্তি খুন হন। কুড়ুল দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে শুনেছি। কুড়ুলটি এখনও উদ্ধার হয়নি। ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে কুড়ুলের খোঁজ করা হবে।’’

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সেজো ছেলে আব্দুল ওহাব ও ছোট ছেলে রফিক একই বাড়িতে থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ি নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি ছিল। মাঝেমধ্যে ছোটখাট গোলমালও হয়। কিছুদিন আগে পাড়ার কিছু লোকজন মীমাংসা করতে সভা করলেও লাভ হয়নি বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাতে খাওয়ার পরে ওহাবের এক মেয়ে বাসন মাজছিলেন। সেই সময়ে রফিকের স্ত্রী লঙ্কা গুঁড়ো জলে গুলে তাঁর মুখে ছুড়ে দেন। মেয়ের চিৎকার শুনে অসুস্থ ওহাব ঘর থেকে বেরিয়ে এলে রফিক ও তার ছেলে মিলে তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ। মেয়েরা তাদের হাতে-পায়ে ধরলেও রেহাই মেলেনি।

Advertisement

নিহতের মেয়ে হাবিবা সিদ্দিকি মেমারি থানায় নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি ও তাঁর দিদি আসমা বেগম সবাইকে শান্ত থাকতে বলছিলেন। তখন কাকিমা (‌বেদেরুন্নেসা) ও আসাদুল্লা কাঠ দিয়ে তাঁদের মারতে থাকেন। হঠাৎ কাকা ঘর থেকে কুড়ুল নিয়ে এসে আক্রমণ করে। তাঁর বাবার মাথায় চোট লাগে, দিদিও জখম হন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁর বাবাকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। দিদি গুরুতর জখম হয়ে সেখানেই চিকিৎসাধীন।

সোমবার সিআই (বর্ধমান ‘বি’) শ্যামল চক্রবর্তী এবং ওসি (‌মেমারি) সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে তদন্তে যান। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, বসতবাড়ি থেকে ওহাবকে উচ্ছেদ করতে চাইছিল রফিকের পরিবার। নিহতের ১০ কাঠা জমিও রফিক ‘দখল’ করে নিয়েছিল বলে অভিযোগ। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল লেগেই ছিল। রবিবার রাতে ঘটনার পরে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতাল, পরে বর্ধমানে নিয়ে যায়। রাতেই অভিযুক্ত তিন জনকে জেরা করার জন্য পুলিশ মেমারি থানায় আনে। সোমবার অভিযোগ পাওয়ার পরে, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন