Arrest

সিভিক ভলান্টিয়ারকে মার! গ্রেফতার ছ’জন দেওয়ানদিঘিতে

বৃহস্পতিবার সকালে হলদি দেপাড়া থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার বিষয়ে দেওয়ানদিঘি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার উত্তম টুডু অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ২৩:৩৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বিয়েবাড়ির লোকজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করার অভিযোগে ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম অমর মাঝি, সুব্রত মাঝি, জীবন মাঝি, রাকেশ রায়, বিকাশ রায় এবং দিবাকর মাঝি। গলসি থানার বনসুজাপুরে দিবাকরের বাড়ি। বাকিদের বাড়ি দেওয়ানদিঘি থানার হলদি দেপাড়ায়। অমর ও সুব্রত সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। রাকেশ ও বিকাশ দুই ভাই। বৃহস্পতিবার সকালে হলদি দেপাড়া থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার বিষয়ে দেওয়ানদিঘি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার উত্তম টুডু অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, কর্তব্যরত অবস্থায় মারধরের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ৩ জুলাই ধৃতদের ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে হলদি দেপাড়ায় বাইকে চেপে মোবাইল ডিউটি করছিলেন উত্তম। গভীর রাতে দেপাড়ায় একটি বিয়েবাড়ির লোকজন রাস্তা পার করে বাসে চাপতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি বাইক কয়েক জনকে ধাক্কা মারে। বাইকটি ফেলে রেখে আরোহী পালিয়ে যান। উত্তম ফোন করে পুলিশকে খবর দেন। বাইকের ধাক্কায় জখম এক মহিলা ও বাচ্চাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পড়ে থাকা বাইকটি থানায় নিয়ে আসতে যান উত্তম। সেই সময় বিয়েবাড়ির লোকজন তাঁর কাছ থেকে বাইকটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা দিলে তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁর মোবাইলটি ভেঙে দেওয়া হয়। এমনকি তাঁর গলা টিপে ধরা হয় বলে লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে। খবর পেয়ে ট্র্যাফিক হোমগার্ডের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন